নতুন মা ও স্বামীর মধ্যে মনোমালিন্যের এক হৃদয়বিদারক ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সন্তান জন্মদানের পর এক মায়ের মানসিক আঘাত এবং শাশুড়ির অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের প্রেক্ষাপটে স্বামীর মন্তব্যের জেরে এই ঘটনা।
জানা যায়, ঘটনার শিকার হওয়া ওই নারী (২৯) সম্প্রতি মা হয়েছেন। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন, যা ছিল তার জন্য বেশ কষ্টকর।
এই সময়ে তার শাশুড়ি (৬০) তাদের সাথে ছিলেন, যিনি মূলত নবজাতকের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি জটিল হতে শুরু করে।
ওই নারীর অভিযোগ, শাশুড়ি সবসময় শিশুকে নিজের কাছে রাখতেন এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় বিভিন্ন কথা বলতেন, যা তাকে আহত করত।
একদিন, স্বামী তাদের সন্তানের ভিডিও দেখতে দেখতে মন্তব্য করেন, “আমার মা তো আসলে বাচ্চার প্রথম মা ছিল, যখন তুমি সুস্থ হচ্ছিলে।” স্বামীর এমন মন্তব্যে হতবাক হয়ে যান স্ত্রী।
তিনি জানান, এত কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর স্বামীর এমন কথা তাকে হতাশ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় স্বামী পাল্টা অভিযোগ করেন, স্ত্রী বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন।
এরপর শুরু হয় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য।
এই ঘটনার পর ওই নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার কষ্টের কথা জানান। সেখানে অনেকেই তার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং স্বামীর এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন।
অনেকে মনে করেন, স্বামীর এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীল ছিল।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, সন্তানের জন্ম এবং তার পরবর্তী সময়ে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মা ও শাশুড়ির সম্পর্ক এখানে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে।
অনেক সময় দেখা যায়, শাশুড়ি মা ও ছেলের সংসারে প্রভাব বিস্তার করেন, যা নতুন মায়ের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়।
এই ঘটনা সেই দিকটিই তুলে ধরে। নতুন মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য এবং তার প্রতি পরিবারের সমর্থন এক্ষেত্রে বিশেষভাবে জরুরি।
আলোচিত ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ করে মা হওয়ার পর একজন নারীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং তার অনুভূতির প্রতি সম্মান জানানো উচিত।
তথ্যসূত্র: সামাজিক মাধ্যম অবলম্বনে।