সম্প্রতি একটি ঘটনা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এক ব্যক্তির আচরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
জানা গেছে, মৃত পিতার প্রতি দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভ এবং ভাইয়ের প্রতি ঈর্ষা, শোকের মুহূর্তে মদ্যপ অবস্থায় প্রকাশ করেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, পিতার প্রয়াণের পর আয়োজিত শোক সভায়।
যেখানে উপস্থিত ছিলেন মৃতের পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, ওই ব্যক্তি মদ্যপান করে পিতার প্রতি নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার পিতা তাকে ভালোবাসতেন না এবং সব সময় তার বড় ভাইকে বেশি গুরুত্ব দিতেন। শুধু তাই নয়, তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গেও তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, যা উপস্থিত শোকাহতদের জন্য চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করে।
ওই ব্যক্তির স্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, তার স্বামীর এমন আচরণে তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।
তিনি জানান, স্বামীর এই ধরনের অপ্রত্যাশিত আচরণ শোকের পরিবেশকে কলুষিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমি বুঝতে পারছি সে কতটা কষ্ট পেয়েছে, কিন্তু অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মতো একটি পবিত্র স্থানে এমনটা হওয়াটা কারো কাম্য ছিল না।
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
অনেকে স্বামীর প্রতি সহানুভূতি দেখালেও, এমন শোকের মুহূর্তে তার এমন আচরণকে সমর্থন করেননি।
কেউ কেউ মনে করছেন, গভীর মানসিক আঘাত থেকে মুক্তি পেতেই হয়তো তিনি এমনটা করেছেন।
আবার অনেকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন, যিনি এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রিয়জনের মৃত্যু মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে।
অনেক সময় মানুষ শোকের মুহূর্তে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারে।
তবে, পারিবারিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং অতীতের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশের জন্য অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার স্থানটি উপযুক্ত ছিল না।
এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দেয়, পারিবারিক সম্পর্ক এবং শোক প্রকাশের ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
বিশেষ করে, এমন একটি সংস্কৃতিতে যেখানে পরিবারের বন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: People