স্বামী ভালোবাসে না! মেসেজ দেখে স্ত্রীর জীবনে ঝড়, অতঃপর…

বিবাহিত জীবনে অপ্রত্যাশিত এক বিপর্যয়! স্বামীর গোপন চ্যাট পড়তে গিয়ে এক নারীর হৃদয় ভাঙার উপাখ্যান।

ঘরের মানুষদের জন্মদিনের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য স্বামীর মোবাইল ফোন হাতে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে যা দেখলেন, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি।

যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওই নারী। তিনি জানান, স্বামীর বন্ধুদের সঙ্গে একটি গ্রুপ চ্যাটে তাঁর সম্পর্কে অত্যন্ত অপমানজনক ও হতাশাজনক মন্তব্য করা হয়েছে।

স্বামী তাঁর সম্পর্কে এমন সব কথা লিখেছেন, যা শুনলে গা শিউরে ওঠে। তিনি নাকি এই বিয়েতে “বন্দী”, পরকীয়া করতে চান, এমনকি স্ত্রীর টাকাপয়সা ও সন্তানের প্রতিও তাঁর কোনো আগ্রহ নেই।

সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, স্বামীর বন্ধুরা নাকি এইসব মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। ওই নারী আরও দেখেছেন, তাঁর স্বামী অন্য নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন এবং প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে কাটানো “সুন্দর” মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণা করেছেন।

এই ঘটনা তাঁর কাছে ছিল “সবচেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা”। তিনি জানান, স্বামীর এই ধরনের আচরণ তাঁকে গভীরভাবে আহত করেছে। তাঁর মনে হয়েছে, স্বামী তাঁকে কোনো সম্মান দেন না এবং তাঁদের দাম্পত্য জীবনকে সমান অংশীদারিত্বের চোখেও দেখেন না।

ওই নারী আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি গত পাঁচ বছর ধরে গৃহিণী। তাঁর স্বামী নাকি বন্ধুদের কাছে তাঁর আর্থিক অবদান নিয়েও অভিযোগ করেন, তাঁকে অলস ও অকর্মণ্য হিসেবে চিত্রিত করেন।

এই ধরনের মিথ্যা ও অপমানজনক মন্তব্যগুলো তাঁকে হতাশ করেছে।

এই ঘটনার পর, ওই নারী “পালানোর পরিকল্পনা” করছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর তাঁদের সম্পর্কের আর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।

তিনি যেহেতু স্বামীর ফোন চেক করেছেন, তাই সরাসরি তাকে কিছু জানাননি। তবে এখন তিনি বিবাহবিচ্ছেদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অনলাইন ব্যবহারকারীরা ওই নারীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন এবং তাঁকে আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছেন। তাঁদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত এবং নিজেকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করা প্রয়োজন।

অনেক পাঠক মনে করেন, এই ধরনের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সম্মান ও খোলামেলা আলোচনা কতটা জরুরি। সম্পর্কের ভিত মজবুত রাখতে হলে, সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে হবে।

কোনো ধরনের গোপনতা বা বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্ককে দুর্বল করে দিতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *