আশ্চর্য! পপ গানের সাথে মঞ্চ কাঁপালেন ইয়ান মানসিক, আসল রহস্য ফাঁস

ইয়াং কাউবয় থেকে পপ তারকাদের সুরে মুগ্ধতা, এক ব্যতিক্রমী সঙ্গীতশিল্পী ইয়ান মানসিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কান্ট্রি সঙ্গীতের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ইয়ান মানসিক। ২৯ বছর বয়সী এই শিল্পী, যিনি “ওয়েস্টার্ন” ঘরানার গানকে কান্ট্রি সঙ্গীতে ফিরিয়ে আনতে চান, তাঁর ব্যতিক্রমী পরিবেশনার জন্য ইতিমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছেন।

তাঁর গানগুলো যেমন পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি, তেমনই লাইভ কনসার্টে পপ তারকাদের জনপ্রিয় গানগুলো পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তাঁর তৃতীয় অ্যালবাম “ঈগল ফেদার” (Eagle Feather)-এর মাধ্যমে তিনি নতুন করে আলোচনায় এসেছেন।

ওয়েস্টার্ন অঙ্গনে বেড়ে ওঠা ইয়ান মানসিক-এর সঙ্গীত জীবনের শুরুটা হয় পরিবারের সঙ্গেই। ছোটবেলা থেকেই বাবা ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে একটি পশ্চিমা ব্যান্ডে গান করতেন তিনি।

সেই সময়েই তিনি গান গাওয়ার পাশাপাশি কিভাবে দর্শকদের মন জয় করতে হয়, সেই বিষয়ে ধারণা লাভ করেন। তাঁর গানের মূল বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি সবসময় মৌলিকত্ব বজায় রাখতে চেষ্টা করেন।

কান্ট্রি সঙ্গীতে প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নিজের স্বতন্ত্রতা প্রমাণ করেছেন তিনি। তার প্রমাণ পাওয়া যায় কনসার্টগুলোতে, যেখানে তিনি ক্রিস্টিনা আগুইলেরা, ব্রিটনি স্পিয়ার্স, কেটি পেরি, টেলর সুইফট, সাবরিনা কার্পেন্টার এবং ক্যামিলা ক্যাবেলোর মতো পপ তারকাদের গান পরিবেশন করেন।

মানসিকের গানের বিষয়বস্তু তাঁর জন্মস্থান, ওয়াইওমিং-এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পশ্চিমা জীবনযাত্রার প্রতিচ্ছবি। তাঁর গানে পাহাড়, প্রেইরি, ঘোড়া, র‍্যাঞ্চ এবং ঐতিহ্যবাহী “রোডিও”-র (Rodeo) প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।

তাঁর কথায়, “আমার সঙ্গীতে কান্ট্রি এবং ওয়েস্টার্নের একটি মিশ্রণ রয়েছে।”

সংগীত জীবনের পাশাপাশি ইয়ান মানসিক একজন দায়িত্বশীল পরিবারের কর্তা। তাঁর স্ত্রী ক্যারোলিন রুডলফ, যিনি একইসঙ্গে তাঁর ম্যানেজারও।

তাঁদের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এবং অক্টোবরে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হবে। পরিবারকে তিনি সবসময় তাঁর অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন।

সম্প্রতি তিনি ‘হোয়াইট বাফালো; ভয়েসেস অফ দ্য ওয়েস্ট’ (White Buffalo; Voices of the West) নামে একটি তথ্যচিত্রেও কাজ করেছেন, যেখানে স্থানীয় আমেরিকান সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।

সংগীত জগতে মানসিক-এর পথচলা সবসময় মসৃণ ছিল না। রেডিওতে তাঁর গান সেভাবে প্রচার না হলেও, তিনি তাঁর স্বকীয়তার ওপর সবসময় জোর দিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, পরিচিতি লাভের জন্য মৌলিকতা বজায় রাখাটা জরুরি। জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য তিনি কোডি জনসন-এর মতো শিল্পীদের অনুসরণ করেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজস্ব ধারায় গান করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন।

বর্তমানে ইয়ান মানসিক তাঁর নতুন অ্যালবাম এবং কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। একইসাথে তিনি তাঁর পরিবারকে সময় দিতেও ভোলেন না।

সঙ্গীতের মাধ্যমে তিনি তাঁর ভালোবাসার মানুষদের জন্য কিছু করতে চান। ইয়ান মানসিক-এর গল্প, সঙ্গীত এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *