ওয়াশিংটন ডিসিতে (D.C.) অবস্থিত একটি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE)। এই রেস্তোরাঁটি সিবিএস নিউজ-এর শীর্ষস্থানীয় সংবাদদাতা নোরা ও’ডনিলের স্বামী জিওফ ট্র্যাসি-র মালিকানাধীন।
মঙ্গলবার, ৬ই মে সকালে নিউ মেক্সিকো অ্যাভিনিউ-তে অবস্থিত শেফ জিওফ-এর রেস্তোরাঁটিতে প্রায় ডজনখানেক ফেডারেল এজেন্ট প্রবেশ করে কর্মীদের কাছ থেকে তাদের আই-৯ নথি দেখতে চান। উল্লেখ্য, জিওফ ট্র্যাসির ডি.সি.-তে আরও একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।
অভিযানটি প্রায় ৯০ মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল, তবে কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ডি.সি.-র মেয়র মুরিয়েল বাউজার এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এই অভিযানে জড়িত ছিল না।
মেয়র বাউজার আরও জানান, তিনি এই ধরনের খবর শুনে উদ্বিগ্ন। তার মতে, “মনে হচ্ছে, আইসিই রেস্তোরাঁ বা এমনকি আবাসিক এলাকাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে, যা অপরাধীদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না এবং এতে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।”
অন্যদিকে, আইসিই-এর একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, “ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (ICE) সারাদেশে কর্মক্ষেত্রে অভিযান চালাচ্ছে, যাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কর্মসংস্থান আইন মেনে চলে। ডি.সি. এলাকার সাম্প্রতিক অভিযানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কাজের নথি যাচাই করা হয়েছে। তবে, এই অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”
এই অভিযানটি এমন এক সময়ে হয়েছে, যখন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিবিএস নিউজের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন। বিশেষ করে, নোরা ও’ডনিলের প্রোগ্রাম “সিক্সটি মিনিটস”-এর কভারেজ নিয়ে ট্রাম্পের আপত্তি রয়েছে।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে, এই অনুষ্ঠানে কমলা হ্যারিসের একটি সাক্ষাৎকার সম্পাদনা করা হয়েছিল, যা নির্বাচনে তার জেতার সম্ভাবনা বাড়িয়েছিল। সিবিএস নিউজ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা হ্যারিসের সাক্ষাৎকারের অসম্পাদিত প্রতিলিপি প্রকাশ করেছে।
ট্রাম্পের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, সিবিএস নিউজের মূল প্রতিষ্ঠান প্যারামাউন্টের আইনি দল বলেছে যে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ “সংবিধানের প্রথম সংশোধনীকে অবমাননা করার শামিল এবং এর কোনো ভিত্তি নেই।” তারা আরও উল্লেখ করেছে যে, সংবাদ মাধ্যমগুলোতে স্পষ্টতা, প্রাসঙ্গিকতা এবং সম্প্রচারের সময়সীমা বজায় রাখতে নিয়মিতভাবে সাক্ষাৎকার সম্পাদনা করা হয়।
এছাড়াও, ট্রাম্প তার নিযুক্ত এফসিসি চেয়ারম্যান ব্রেন্ডন ক্যার-কে গ্রিনল্যান্ড ও ইউক্রেন নিয়ে “সিক্সটি মিনিটস”-এর কিছু অংশের জন্য সিবিএস-এর ওপর জরিমানা আরোপ এবং তাদের সম্প্রচার লাইসেন্স বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, সিবিএস একটি “অসৎ রাজনৈতিক সংগঠন”-এর মতো কাজ করছে এবং তাদের এই কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল