বরফের चादर গলছে দ্রুত, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে চরম বিপদের সম্মুখীন বাংলাদেশ
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের বরফের चादर গলতে শুরু করেছে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এমনকি, বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখতে পারলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঠেকানো যাবে না।
গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিনল্যান্ড ও আন্টার্কটিকার বিশাল বরফের স্তূপগুলো দ্রুত গলছে। এর ফলে সমুদ্রের জলস্তর কয়েক ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে, যা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করা মানুষের জন্য এক বিরাট হুমকি তৈরি করবে।
বর্তমানে যে হারে বরফ গলছে, তাতে আগামী কয়েক দশকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৃদ্ধি পায়, তাহলেও দ্রুত বরফ গলতে শুরু করবে। এমনকি, বর্তমান হারে বরফ গলতে থাকলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বছরে প্রায় ০.৪ ইঞ্চি করে বাড়তে পারে।
এই হারে জলস্তর বাড়তে থাকলে শতাব্দীর শেষে তা ৪০ ইঞ্চিতে পৌঁছাতে পারে, যা উপকূলের কাছাকাছি বসবাস করা মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এই গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমানো না গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বরফ গলন কমাতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে।
বাংলাদেশের জন্য এই পরিস্থিতি বিশেষভাবে উদ্বেগের। কারণ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা সামান্য বাড়লেই দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
এতে করে উপকূলের বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পাশাপাশি কৃষি ও অবকাঠামো খাতেও ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ক্ষতির শিকার হতে হবে।
আবহাওয়াবিদ এবং পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। কার্বন নিঃসরণ কমানো, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সুরক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন