যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ইডাহোর একটি পাহাড়ি জনপদে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়, আর এর জের ধরে এক বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত দুই দমকল কর্মী। রবিবার (২৯শে জুন, ২০২৫) কানফিল্ড মাউন্টেন এলাকায় আগুন লাগানোর পর হামলাকারী অতর্কিতভাবে তাঁদের ওপর গুলি চালায়।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোয়ের ডি’লেন এলাকার কাছে অবস্থিত কানফিল্ড মাউন্টেনে আগুন লাগানোর পরে এক ব্যক্তি সেখানকার দমকল কর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। গুলির শব্দ শোনা যাওয়ার পর পরই সেখানে ছুটে যান দমকল কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
ঘটনার পর কোটেনি কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় জানায়, সন্দেহভাজন ওই হামলাকারীকে পরে একটি বনের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামলাকারী একাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং ইচ্ছাকৃতভাবেই সে আগুন লাগিয়েছিল।
কোটেনি কাউন্টির শেরিফ বব নরিস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমরা বিশ্বাস করি, সন্দেহভাজন ব্যক্তিই আগুন ধরিয়েছিল এবং এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হামলা। দমকল কর্মীদের আত্মরক্ষার কোনো সুযোগ ছিল না।”
আগুনের খবর পাওয়ার পর দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর কিছুক্ষণ পরেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার সময় সেখানে চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর এক কর্মীর চিকিৎসা চলছে।
ঘটনার পর কানফিল্ড মাউন্টেন ট্রেইলহেড এবং নেটলটন গুলচ রোড এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ জনসাধারণের প্রতি ওই এলাকা এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় পরে তাঁদের জন্য সতর্কতা শিথিল করা হয়।
ইডাহোর গভর্নর ব্র্যাড লিটলের মতে, এই ঘটনা সাহসী দমকল কর্মীদের ওপর একটি “জঘন্য আক্রমণ”। তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
এই ঘটনার তদন্তে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর একটি দল কাজ করছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস