বিচার চেয়েও ব্যর্থ, কান্নায় ভেঙে পড়ল নিহত ছাত্রীর পরিবার!

ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্রায়ান কোহবার্গারের সম্ভাব্য আপোস-মীমাংসার খবরে নিহতদের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কোহবার্গারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো হলো—প্রথম-ডিগ্রি হত্যা এবং গুরুতর চুরির মতো অপরাধ।

খবর অনুযায়ী, অভিযুক্তের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা হতে চলেছে, যেখানে তিনি দোষ স্বীকার করবেন এবং এর বিনিময়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করবেন।

২০২২ সালের নভেম্বরে, ইডাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কায়েলে গনসালভেস, ম্যাডিসন মোগেন, জানা কার্নডল ও ইথান চ্যাপিন—এই চারজনকে হত্যার অভিযোগে কোহবার্গারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

মামলার শুনানির শুরুতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তবে, সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, তিনি আপোস করতে রাজি হয়েছেন।

এর ফলে, অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের সম্ভাবনা কমে যাবে।

কায়েলে গনসালভেসের বোন, আউব্রি গনসালভেস, এই সম্ভাব্য আপোস-মীমাংসার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লেখেন, “বিচার ব্যবস্থা এই চার নিরীহ শিক্ষার্থীর পরিবারকে হতাশ করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এই আপোস-মীমাংসা যেন ভুক্তভোগীদের অতীতের চেয়ে আসামীর ভবিষ্যৎকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।”

আউব্রি জানান, এই মামলার কারণে পরিবারটিকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এবং বিভিন্ন জটিলতার কারণে প্রিয়জনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি এই আপোস-মীমাংসা আগে প্রস্তাব করা হতো, তাহলে হয়তো তারা মানসিক প্রস্তুতি নিতে পারতেন। কিন্তু এখন, বিচারের কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা তাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নিহতদের পরিবার এই আপোসের তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং তারা আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিল।

তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করে তাদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি।

এই ঘটনায় নিহতদের পরিবার এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তারা চান, তাদের স্বজনদের স্মৃতিকে সম্মান জানানো হোক এবং অপরাধীর যথাযথ শাস্তি হোক।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *