যুক্তরাষ্ট্রের একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার শুনানি এখন শেষের পথে। এই মামলার প্রধান আসামি ব্রায়ান কোহবার্গার, যিনি ২০১৮ সালে ইদাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষার্থীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত।
আগামী আগস্ট মাসেই এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২২ সালের নভেম্বরে, ইদাহোর মস্কোতে একটি বাড়িতে চারজন শিক্ষার্থীর—মেডিসন মোগেন, কায়েলেই গনকাল্ভেস, জেনা কার্নোডল এবং ইথান চ্যাপিন—নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই হত্যাকাণ্ডের কয়েক সপ্তাহ পর, পেনসিলভানিয়া থেকে কোহবার্গারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেও অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন।
শুরু থেকেই, এই মামলার তদন্তে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে।
ডিএনএ প্রমাণ, অ্যামাজনে ছুরি কেনার ইতিহাস, এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান—এগুলো সবই মামলার গুরুত্বপূর্ণ দিক। কৌঁসুলিরা প্রমাণ হিসেবে দেখাতে চাইছেন যে, কোহবার্গার একটি ছুরি কিনেছিলেন, যা ঘটনাস্থলে পাওয়া ছুরির সাথে মিলে যায়।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কোহবার্গারের অটিজম(Autism) সমস্যাকে তুলে ধরেছেন, যা তার আচরণের ব্যাখ্যা দিতে সহায়ক হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
তবে বিচারক স্টিভেন হিপলার এই বিষয়ে চূড়ান্ত রায় দেবেন।
আদালতে শুনানিতে, মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ হিসেবে বিভিন্ন আইনি জটিলতা ও প্রমাণাদির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
কোহবার্গারের আইনজীবীরা ডিএনএ পরীক্ষার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কারণ এই প্রমাণ মামলার ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে।
এই মামলার রায় যদি কোহবার্গারের বিপক্ষে যায়, তাহলে তিনি মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
তবে এখনো পর্যন্ত, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এই মামলার শুনানি এবং বিচার প্রক্রিয়া সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, একটি সমাজের কাছে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়াটা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: সিএনএন