যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যের গভর্নর জে বি প্রিটজকার ডেমোক্রেটদের উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারে দেওয়া ভাষণে তিনি রিপাবলিকানদের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ডেমোক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে নেওয়া নীতির কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
গভর্নর প্রিটজকার ডেমোক্রেটিক পার্টির কিছু নেতার সমালোচনা করে বলেন, তারা অনেক সময় “ভীতু” এবং “অকর্মণ্য” মনোভাব দেখিয়েছেন।
তাঁর মতে, এই ধরনের মানসিকতা ত্যাগ করে জনগণের অধিকার রক্ষায় আরও সক্রিয় হতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ডেমোক্রেটদের এখন “আপোস” না করে “লড়াই” করতে হবে।
নিউ হ্যাম্পশায়ার, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাজ্য, সেখানে দেওয়া ভাষণে প্রিটজকার বলেন, “সময় এসেছে আপস বন্ধ করার, যখন আমাদের লড়াই করতে হবে।” তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সময় নেওয়া কিছু নীতির উদাহরণ দেন, যা মানুষের অধিকার খর্ব করে এবং সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করে।
এর মধ্যে এল সালভাদরে অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।
গভর্নর প্রিটজকার বলেন, “আজ যদি একজন অভিবাসীর শরীরে ট্যাটু থাকে, তবে কাল হয়তো ট্রাম্পের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট করার কারণে কোনো নাগরিককে এর শিকার হতে হবে।”
প্রিটজকারের এই বক্তব্য ডেমোক্রেটদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাক্তন গভর্নর জন লিন্চ এবং কংগ্রেসম্যান ক্রিস পাপাস-এর মতো নেতারা প্রিটজকারের এই সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
তাঁরা মনে করেন, ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য প্রিটজকার ডেমোক্রেটদের সঠিক পথ দেখাচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গভর্নর প্রিটজকারের এই ভাষণ তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত বহন করে।
যদিও তিনি এখনো তৃতীয় মেয়াদে ইলিনয়ের গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা, সেই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি, তবে তাঁর এই ভাষণ অনেককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে।
ভাষণে প্রিটজকার ডেমোক্রেটদের প্রতি আহ্বান জানান, তাঁরা যেন সমাজের দুর্বল ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষায় আরও সোচ্চার হন।
তিনি মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে “ধৈর্যের সংস্কৃতি” ত্যাগ করে সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন