যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ক্রমেই বাড়ছে। বিভিন্ন শহরে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে। লাস ভেগাস, শিকাগো, সিয়াটল, স্পোকেন, সান আন্তোনিও, টুসোন এবং অ্যাঙ্করেজ সহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কোথাও কোথাও কাঁদানে গ্যাস ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করেছে পুলিশ। অনেক স্থানে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
টেক্সাস ও মিসৌরির গভর্নর পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার ট্রাম্পের সামরিক কুচকাওয়াজের সময় দেশজুড়ে ‘নো কিংস’ নামে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লাস ভেগাসে বুধবার রাতে বিক্ষোভের সময় ৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের উপর পাথর ছোড়ার অভিযোগে কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
শিকাগোতে অভিবাসী ও শরণার্থী অধিকার সংগঠনের কর্মীরা বিক্ষোভকারীদের প্রতি নিজেদের রক্ষার আহ্বান জানান। সিয়াটলে বিক্ষোভকারীরা একটি সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্পোকেনে মেয়র কারফিউ জারি করেছেন।
আরিজোনার টুসনে বিক্ষোভের সময় মুখোশ পরা নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। অ্যাঙ্করেজে অভিবাসন কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা প্রায় ৪০ জনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিক্ষোভের কারণে কর্তৃপক্ষ সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস