**ভারতের মহাকাশ জয়ের পথে নতুন পদক্ষেপ: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখলেন প্রথম ভারতীয় নভোচারী**
মহাকাশ গবেষণার জগতে ভারত এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করলো। সম্প্রতি, ভারতীয় নভোচারী শুভানশু শুক্লা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station – আইএসএস) পা রেখেছেন।
বুধবার, ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে একটি বিশেষ মিশনে (Axiom Space Mission 4 বা Ax-4) তিনি যাত্রা শুরু করেন। এই মিশনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দেশের আরও কয়েকজন নভোচারী।
এই মিশনে ভারতের অংশগ্রহণ দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত। এর আগে, ১৯৮৪ সালে রাকেশ শর্মা সোভিয়েত মহাকাশযানে চড়ে মহাকাশে গিয়েছিলেন।
এবার, ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্খা নিয়ে শুভানশু শুক্লা পাড়ি জমিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এই মিশনে তিনি প্রায় দু’সপ্তাহ কাটাবেন এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক বিবৃতিতে শুভানশুর এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাঁর ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এই মিশনে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা (NASA) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) মধ্যে সহযোগিতা রয়েছে।
এটি ভারতের নিজস্ব মহাকাশ মিশন ‘গগনযান’-এর প্রস্তুতি হিসাবেও দেখা হচ্ছে, যা সম্ভবত ২০২৭ সালে অনুষ্ঠিত হবে। গগনযান মিশনে ভারতীয় নভোচারীরা মহাকাশে যাবেন।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে। গত বছর, ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণ করিয়ে চতুর্থ দেশ হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করে।
এই ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩ মিশন চাঁদের সেই অংশে অবতরণ করে, যা আগে কোনো দেশ করতে পারেনি। এর মাধ্যমে চাঁদের গঠন ও বিবর্তন সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নতুন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়াও, ভারত ২০৩৫ সালের মধ্যে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন ‘ভারতীয় আন্তরীক্ষ স্টেশন’ (Bharatiya Antariksha Station) তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। ২০২৮ সালে শুক্র গ্রহে একটি অভিযান পাঠানোরও প্রস্তুতি চলছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের এই অগ্রগতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আমাদের উৎসাহ যোগায় এবং এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে নতুন করে স্বপ্ন জাগিয়ে তোলে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
