কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েক দশক-এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ড্রোন আক্রমণ এবং গোলাবর্ষণে উভয় পক্ষের সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে এবং উভয় দেশই একে অপরের উপর দোষারোপ করছে।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে চলমান বিবাদ নতুন করে যুদ্ধের দিকে মোড় নিচ্ছে কিনা, তা নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। উভয় দেশই পারমাণবিক শক্তিধর হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে উভয় দেশের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর প্রায়ই গোলাগুলি ও মর্টার হামলা চলছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের পুরনো একটি বিরোধ। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই এই অঞ্চলের মালিকানা নিয়ে দুই দেশ একাধিকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে তিনটি বড় যুদ্ধ হয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত শান্তি ফিরে আসেনি।
সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং উভয় দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান না হলে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
উভয় দেশের সরকারকেই উত্তেজনা প্রশমনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে হবে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা