যুদ্ধবিধ্বস্ত কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা: চীন ও ফ্রান্সের যুদ্ধবিমান ব্যবহার
ঢাকা, [আজকের তারিখ]। কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে উভয় দেশই সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সংঘাতে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার অভিযোগ এনেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পাশাপাশি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করারও দাবি করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চীনের তৈরি জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ভারতীয় ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, তারা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের একটি রাশিয়ান এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।
তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। উভয় দেশের মধ্যে চলমান এই সংঘাতে ব্যাপক পরিমাণে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, তারা ফাতা-২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতের একটি ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার এবং দুটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।
যদিও ভারত সরকারও পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলার কথা স্বীকার করেছে। তবে উভয় পক্ষের হামলায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ দাবি করেছেন, ভারতীয় বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে তারা।
এর মধ্যে ছিল তিনটি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান, একটি রুশ-নির্মিত সুখোই-৩০এমকেআই এবং একটি মিগ-২৯।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তাদের কোনো বিমানের ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এই দাবি করে বলেছেন, পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ১০টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার সুযোগ পেয়েছিল, তবে তারা সংযম দেখিয়ে কেবল পাঁচটি বিমানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারত এখনো তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেনি। তবে বিভিন্ন স্থানে তিনটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে।
ভারতের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় বিমান বাহিনীতে তিন ধরনের যুদ্ধবিমানসহ ৭০০টির বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, উভয় দেশই আকাশসীমা লঙ্ঘনের কথা অস্বীকার করেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আকাশপথে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিবর্তে, পাকিস্তান সম্ভবত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করেছে।
সংঘাতে ব্যবহৃত অস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: চীনা ক্ষেপণাস্ত্র, ফরাসি যুদ্ধবিমান এবং রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
এছাড়া, পাকিস্তানের বিমান বহরে মার্কিন এফ-১৬, ফরাসি মিরাজ এবং চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমানও রয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন, জে-১০সি বিমান ব্যবহার করেই ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে, চীনের তৈরি জে-১০সি এবং জেএফ-১৭ বিমান প্রস্তুতকারক এভিসি চেংদু এয়ারক্রাফট কোম্পানির শেয়ারে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে।
অন্যদিকে, রাফাল যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক ডাসল্ট এভিয়েশনের শেয়ারের দাম প্যারিস স্টক এক্সচেঞ্জে কমে যায়, যদিও পরে তা স্থিতিশীল হয়।
উভয় দেশই তাদের হামলার বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল অন্তত ৯টি স্থান, যেখানে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
ভারত সরকার হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চারটি করে স্থানে আঘাত হানতে দেখা গেছে।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব প্রদেশে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলোর মধ্যে দুটি মসজিদও রয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, উভয় দেশই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা বললেও, ভিডিও ফুটেজে বোমা হামলার চিত্রও দেখা গেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস