ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার কারণে আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে অথবা অন্য পথে পরিচালনা করতে বাধ্য হয়েছে।
এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের ফ্লাইটগুলোতে, যা বাংলাদেশের আকাশসীমার উপর দিয়ে চলাচল করে।
বুধবার সকাল থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
বিশেষ করে যেসব বিমান ইউরোপের দিকে যাচ্ছিল, সেগুলোকে হয় যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে, নয়তো অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এবং সময় ও অর্থ দুটোই বেশি খরচ হচ্ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স এবং কেএলএম-এর মতো বিমান সংস্থাগুলো। এই এয়ারলাইন্সগুলো হয় তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে, না হয় অন্য রুটে বিমান পরিচালনা করছে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে উড়োজাহাজগুলোকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে, যেমন মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং ভারতের উপর দিয়ে। এর ফলে ভ্রমণের সময় বাড়ছে এবং অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীদের ট্রানজিট-এর জন্য অতিরিক্ত সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বিমান ভাড়ার উপরও এর প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া, অনেক রুটের ফ্লাইট বাতিল হওয়ায়, যারা জরুরি প্রয়োজনে বিদেশ যেতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এটি একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনার প্রভাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সরাসরি কোনো ফ্লাইট বাতিল না হলেও, ইউরোপগামী যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। কারণ, ফ্লাইটগুলোকে হয় অন্য পথে যেতে হচ্ছে, অথবা ট্রানজিটের জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
তাই, ভ্রমণকারীদের প্রতি পরামর্শ হলো, যাত্রা শুরুর আগে অবশ্যই তাদের ফ্লাইটের সময়সূচী সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। সেই সাথে, অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে যাত্রা শুরু করা ভালো, যাতে কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতেও তারা নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা