আতঙ্ক! ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যুদ্ধের দামামা, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, যুদ্ধের আশঙ্কা।

ইসলামাবাদ (পিটিআই) – ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর সীমান্ত অঞ্চলে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বুধবার (৭ মে, ২০২৪) উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ এনেছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

উভয় দেশেই হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে, যা এই অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরও সংকটজনক করে তুলেছে।

পাকিস্তানের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দেশটির কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল অন্তত ৯টি স্থান, যেখানে ভারতের দাবি অনুযায়ী, ‘ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল’।

এর মধ্যে দুটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিহতদের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন, তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এর ফলে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা আরও বাড়ছে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভারতীয় ভূখণ্ডে তিনটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।

উভয় পক্ষই ব্যাপক গোলাগুলির খবর নিশ্চিত করেছে, যেখানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলে গত মাসে ভারতীয় পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।

ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে এবং এর প্রতিশোধ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

যদিও পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ভারত ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ভারত ‘অহংকারী’ আচরণ করছে।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ‘আত্মরক্ষার’ জন্য উপযুক্ত সময়ে, স্থানে এবং পদ্ধতিতে জবাব দেবে।

পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৬টি স্থানে আঘাত হেনেছে।

তিনি আরও জানান, নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে আরও ৫ জন নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সামরিক অভিযানটিকে ‘সিন্ধুর’ নামে অভিহিত করা হয়েছে।

‘সিন্ধুর’ হলো একটি হিন্দি শব্দ, যা বিবাহিত হিন্দু নারীদের কপালে পরার সিঁদুরকে নির্দেশ করে।

উভয় দেশই কাশ্মীর অঞ্চলের মালিকানা দাবি করে এবং এই অঞ্চল নিয়ে অতীতে একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে উভয় পক্ষকে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও দুই দেশকে সর্বোচ্চ संयम প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনের পক্ষ থেকেও উভয় দেশকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *