সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল), এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এই ঘোষণা দেয়। কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিসিসিআই এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে টুর্নামেন্টের নতুন সময়সূচী এবং ভেন্যু সম্পর্কে পরবর্তীতে জানানো হবে।
আইপিএল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, যেখানে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি সম্পন্ন খেলোয়াড়রা অংশ নেন এবং কোটি কোটি দর্শক টিভিতে খেলা উপভোগ করেন।
টুর্নামেন্টটি সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই বছর অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের ৬৫ জন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছেন।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে এখনো ১২টি ম্যাচ বাকি ছিল, এরপর নকআউট পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ফাইনাল ম্যাচটি ২৫শে মে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
বিসিসিআই আরও জানায়, সকল অংশীদারদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ক্রিকেট নিঃসন্দেহে একটি জাতীয় আবেগ, তবে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তা সবার আগে।
এদিকে, পাকিস্তানও তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট, পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল)-এর স্থান পরিবর্তন করেছে।
খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং উদ্বেগের কারণে পিএসএল-কে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ধরমশালায় পাঞ্জাব কিংস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে একটি ম্যাচ বাতিল করা হয়, কারণ সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্ল্যাকআউটের কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছিল।
এছাড়াও, উত্তর-পশ্চিম করিডোরে বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে পাঞ্জাবের পরবর্তী ম্যাচ ধর্মশালা থেকে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সম্প্রতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এর আগে, ভারতীয় একটি ড্রোন পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে বিধ্বস্ত হয়, যেখানে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে পিএসএলের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে এই খবর নিঃসন্দেহে হতাশাজনক।
দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকার এই সামরিক উত্তেজনা শুধু খেলাধুলার জগৎকেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস