মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের ঐতিহাসিক জয়, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন।
রবিবার এক অসাধারণ ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন দীপ্তি শর্মা ও শেফালি ভার্মা।
তাঁদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারত নারী ক্রিকেটের ইতিহাসে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত সংগ্রহ করে ২৯৮ রান।
ওপেনার শেফালি ভার্মা ৭৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। এমনকি তিনি দলের প্রয়োজনের সময় ফিল্ডিংয়েও ২ উইকেট শিকার করেন।
দীপ্তি শর্মা ৯.৩ ওভার বল করে মাত্র ৩৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ভারতের জয়কে আরও সহজ করে তোলে।
এছাড়া, তিনি ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, সংগ্রহ করেছেন ৫৮ রান।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ৪৫.৩ ওভারে ২৪৬ রান করে অলআউট হয়ে যায়। দলের হয়ে লরা উলভার্ট ১০১ রান করেন, কিন্তু তাঁর সেঞ্চুরিও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি।
ভারতের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর বলেন, “আমরা এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম, এবং আজ সেই মুহূর্তটি এসেছে।
আমরা এখন এই জয়কে একটি অভ্যাসে পরিণত করতে চাই।”
টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ভারত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
এই জয়ের ফলে ভারত নারী ক্রিকেটে তাদের প্রথম বড় শিরোপা জিতল। এর আগে, ভারত দু’বার ফাইনাল পর্যন্ত উঠলেও শিরোপা জিততে ব্যর্থ হয়েছিল।
২০০০ সালে নিউজিল্যান্ডের পর এই প্রথম কোনো দল প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলো।
শেফালি ভার্মাকে ম্যাচ সেরা এবং দীপ্তি শর্মাকে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
শেফালি ভার্মা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ঈশ্বর আমাকে ভালো কিছু করার জন্য পাঠিয়েছিলেন, এবং আজ সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।
আমি কেবল রান করার দিকে মনোযোগ দিয়েছিলাম এবং আমার মন ছিল সম্পূর্ণ পরিষ্কার।”
এই ঐতিহাসিক জয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিশেষ পোস্টের মাধ্যমে দলের খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানায়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন