বদলে যাওয়া জীবন: মোটর মেকানিক থেকে ময়ূরের প্রশিক্ষক
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার কাছাকাছি শহর ডেপোক। সেখানেই বসবাস করেন আলবি আলবার রামলি। পেশায় তিনি একজন ময়ূর প্রশিক্ষক। তবে এই পরিচয় তার কাছে নতুন। এক সময় আলবি কাজ করতেন একজন মোটর মেকানিক হিসেবে।
পাখির প্রতি ভালোবাসাই তাকে এই পেশায় এনেছে।
২০১৮ সালে টিয়া পাখির প্রতি আকৃষ্ট হন আলবি। এরপর তার শখ আরও বাড়ে। ধীরে ধীরে বড় আকারের, আকর্ষণীয় পাখিদের প্রতি আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে তার।
বিশেষ করে ময়ূরের প্রতি দুর্বলতা তৈরি হয় তার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ময়ূরের কিছু ভিডিও দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হন। যেখানে দেখা যায়, ময়ূরগুলো তাদের প্রশিক্ষকের ডাকে সাড়া দিয়ে ফিরে আসে।
এরপরই পেশা বদলের সিদ্ধান্ত নেন আলবি।
২০২০ সালে আলবি’র স্বপ্ন পূরণ হয়। এক পাখি প্রেমী তাকে একটি নীল ও সোনালী রঙের ময়ূর ‘জোরো’র প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেন। জোরো ছিলো আলবি’র প্রথম প্রশিক্ষিত ময়ূর।
এই অভিজ্ঞতা তাকে নতুন পথে চলতে উৎসাহ জুগিয়েছিল। বর্তমানে আলবি’র বাড়িতে ১৮টি ময়ূরের একটি সংগ্রহশালা রয়েছে। যেন এটি ময়ূরদের একটি বিদ্যালয়।
আলবি জানান, প্রতিটি পাখির আলাদা নাম এবং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাদের দেখাশোনা করা, খাঁচা পরিষ্কার করা এবং পালকগুলোকে পরিপাটি রাখা—এসবই তার দৈনিক রুটিনের অংশ।
তিনি ময়ূরদের ভালোভাবে প্রশিক্ষিত করেন, যাতে তারা প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারে। আলবি জানান, পাখিদের মধ্যে কেউ কেউ দ্রুত সব বুঝতে পারে, আবার কারো সময় লাগে।
আলবি আলবার রামলি জানান, তিনি ময়ূরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট মূল্য নেন না। ময়ূরের মালিকরা যা দিতে চান, তাই গ্রহণ করেন তিনি।
বন্ধুদের সহায়তায় তিনি জাকার্তা ও তার আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তার মতে, এর মাধ্যমে তিনি তার প্রশিক্ষণের ফল প্রদর্শন করতে পারেন।
পাখির প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই তিনি এই কাজ করেন। তিনি বলেন, “আমি সত্যিই পাখিদের ভালোবাসি। তাদের প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা, আমি এই মূল্যবান পাখিগুলোর যত্ন নিতে পেরে গর্বিত।”
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস