নিজের শিশুকন্যাকে বিষ! চাঞ্চল্যকর মামলায় নতুন তথ্য!

অস্ট্রেলিয়ার এক প্রভাবশালী সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে তার শিশুকন্যাকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এই মামলার শুনানিতে নতুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ঘটনার মোড় ঘোরাতে পারে।

খবর অনুযায়ী, আদালতে পেশ করা ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, হাসপাতালে জব্দ করা একটি পিলের মধ্যে অভিযুক্ত মায়ের ডিএনএ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারীর বয়স ৩৪ বছর এবং তিনি সামাজিক মাধ্যমে বেশ পরিচিত। তিনি তার মেয়ের অসুস্থতার কারণ হিসেবে কিছু ঔষধের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলোর কারণেই শিশুটির খিঁচুনি হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত ১৬ই জানুয়ারি ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তবে আদালতের নির্দেশে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

গত ২৩শে জুন ব্রিসবেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো একটি পিলের জেনেটিক পরীক্ষায় অভিযুক্তের ডিএনএ পাওয়া গেছে।

আদালতের কাছে পেশ করা অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে মায়ের ডিএনএ শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনজীবীরা বলছেন, মামলার প্রমাণ বেশ জটিল প্রকৃতির।

মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ম্যাথিউ কাসকেলি জানান, তারা একজন ব্যারিস্টার নিয়োগের চেষ্টা করছেন।

তিনি আরও জানান, মামলার প্রমাণ পর্যালোচনা করতে এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে তাদের একজন সহকারীকে নিয়োগ করা হয়েছে, যিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর অভিজ্ঞ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির ‘টিউবারাস স্ক্লেরোসিস’ নামক একটি রোগ ছিল এবং তার শরীরে কিছু টিউমারও ছিল।

আইনজীবীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ডেপুটি চিফ ম্যাজিস্ট্রেট অ্যান্টনি গেট এই মামলার শুনানি আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত স্থগিত করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, অনলাইনে ভিডিও শেয়ার করে ওই নারী প্রায় ৩৭,৫০০ মার্কিন ডলার (ডলারের বর্তমান বিনিময় হার অনুসারে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪১ লাখ টাকার সমান) সংগ্রহ করেছিলেন।

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, ওই নারীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— মেয়েকে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যার চেষ্টা, শিশুদের প্রতি নির্যাতন, শিশু নির্যাতনের উপাদান তৈরি এবং প্রতারণার মতো গুরুতর অভিযোগ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *