আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক কাউবয় ও কাউগার্লস দিবস। সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাউবয় সংস্কৃতি ও কান্ট্রি গানের যোগসূত্র দেখা যায়।
তবে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দেখা গেছে, কীভাবে এই ধারার জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
গত শনিবার নাইরোর Ngong Racecourse-এ এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কয়েকশ’ মানুষ টুপি, বুট ও ডেনিম পরে অংশ নিয়েছিল। কেনিয়ার কান্ট্রি মিউজিকের পরিচিত মুখ ‘স্যার এলভিস’-এর পরিবেশনা ছিল এই আয়োজনের মূল আকর্ষণ।
তাঁর গান শুনতে দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় থাকা ভক্তদের পাশাপাশি নতুন শ্রোতাদেরও দেখা গেছে।
অনুষ্ঠানে গান-বাজনার পাশাপাশি ছিল মেকানিক্যাল বুল রাইড, পশ্চিমা পোশাকের দোকান এবং কাউবয় থিমের বিভিন্ন খেলা। এই আয়োজন যেন নাইরোবি শহরে ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’-এর আমেজ এনে দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, ‘ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’ হলো উনিশ শতকের আমেরিকার পশ্চিমা অঞ্চলের সংস্কৃতি, যা দুঃসাহসিকতা, স্বাধীনতা এবং উন্মুক্ত প্রকৃতির প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
কাউবয় ও কাউগার্লস নামক একটি স্থানীয় পোশাক ও ইভেন্ট কোম্পানির মালিক এলিজা মানিয়েকি এই উৎসবের আয়োজন করেন। তাঁর মতে, কেনিয়াতে কান্ট্রি গানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, সেই কারণেই এমন একটি আয়োজন করা হয়েছে।
১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশকে কেনিয়ার সঙ্গে এই ধারার গানের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফটোগ্রাফার ফ্রেডরিক লেরনার্ড। তিনি বলেন, “আমি সেখানকার পরিবেশটা একেবারে অন্যরকম দেখেছি। সবাই যেন তাদের পোশাকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছিল।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আশা করি, কান্ট্রি গানের প্রতি ভক্তদের ভালোবাসা, আবেগ ও আনন্দ আমি ক্যামেরাবন্দী করতে পেরেছি। সেখানে ভালোবাসার এক অন্যরকম আবহ ছিল।”
অনুষ্ঠানের আয়োজক লেইলা আউওর জানিয়েছেন, এই ধরনের আয়োজন শিল্প ও সংস্কৃতিকে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে আসার সম্ভাবনা রাখে এবং ভবিষ্যতে এটি নাইরোর সামাজিক ক্যালেন্ডারের একটি নিয়মিত অংশে পরিণত হবে।
তথ্য সূত্র: CNN