ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট সংযোগ এখন বিলাসিতা নয়, বরং একটি অপরিহার্য বিষয়। কিন্তু যখন এই অত্যাবশ্যকীয় সংযোগটি হঠাৎ করে বিঘ্নিত হয়, তখন যে কি পরিমাণ বিড়ম্বনা সৃষ্টি হতে পারে, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।
সম্প্রতি, এমন এক অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলেন একজন ব্যক্তি, যিনি তার দৈনন্দিন কাজের জন্য ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল ছিলেন।
একদিন সকালে তিনি খেয়াল করেন তার কম্পিউটারে কোনো ওয়েবসাইট খুলছে না। প্রথমে বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেননি, কিন্তু যখন দেখলেন অফিসের জরুরি ইমেইলগুলোও লোড হচ্ছে না, তখন উদ্বেগে পড়লেন।
ওয়াইফাই রাউটারের দিকে তাকিয়ে দেখলেন, সেখানে একটি নীল আলো জ্বলছে, যা সম্ভবত সংযোগে সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। দ্রুত তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
স্ত্রী তেমন একটা গুরুত্ব না দিলেও, তার কাছে বিষয়টি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট সমস্যার সমাধানে তিনি প্রথমে তার ইন্টারনেট সরবরাহকারীর ওয়েবসাইটে যান। সেখানে সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু সাধারণ নির্দেশিকা দেওয়া ছিল।
বিল পরিশোধ করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করার পর, তিনি তার এলাকার সংযোগে কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা পরীক্ষা করেন।
এরপর রাউটারের আলো দেখে সমস্যা চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু কোনো সমাধান খুঁজে পাননি।
এরপর তিনি কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন। কিন্তু তাদের সাহায্যকারী ব্যবস্থা ছিল খুবই দুর্বল।
অপেক্ষা করতে করতে তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। অবশেষে, টেকনিশিয়ান আসার জন্য একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করেন, কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরেই ইন্টারনেট আবার চালু হয়।
পরের দিন সকালে, টেকনিশিয়ান আসার কথা থাকলেও, তিনি দেখেন তার অ্যাপয়েন্টমেন্টটি বাতিল করা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি খেয়াল করেন, তার প্রতিবেশী তাদের সংযোগের জন্য কাজ করা একজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন।
তিনি সন্দেহ করেন, হয়তো তার সংযোগের তারে কোনো সমস্যা হয়েছে।
অবশেষে, টেকনিশিয়ানরা আসেন এবং সমস্যাটি খুঁজে বের করেন।
তারা জানান, বাগানের দরজার ঘর্ষণে তারের ইনসুলেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার কারণে সংযোগে সমস্যা হচ্ছিল।
দ্রুততার সঙ্গে তারা তারটি মেরামত করেন এবং ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক হয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়, ইন্টারনেটের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায়, সংযোগে সামান্য ত্রুটিও কতটা উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
একইসঙ্গে, গ্রাহক পরিষেবা এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া কতটা জরুরি, তা এই অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian