**আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নতুন সভাপতি নির্বাচিত কৃস্টি কোভেন্ট্রি**
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া মন্ত্রী কৃস্টি কোভেন্ট্রি নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি ইতিহাস গড়েছেন, কারণ তিনিই প্রথম নারী এবং প্রথম আফ্রিকান যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হলেন।
কোভেন্ট্রির এই ঐতিহাসিক বিজয় ক্রীড়া বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে তিনি ৪৯ ভোট পেয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্সের প্রেসিডেন্ট সেবাস্টিয়ান কো, যিনি মাত্র ৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ২৯ ভোট পাওয়া জুয়ান আন্তোনিও সামারাঞ্চ জুনিয়র।
কোভেন্ট্রির এই বিজয় নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে অনেকে মনে করছেন, এই নির্বাচনে কিছু গোপনীয়তা ছিল। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ এবং আইওসির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা কোভেন্ট্রির প্রার্থিতাকে সমর্থন জুগিয়েছেন। বাখ নিজেই নির্বাচকমণ্ডলীর দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছেন।
নতুন সভাপতি হিসেবে কোভেন্ট্রির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, নারী ক্রীড়াবিদদের অধিকার রক্ষা এবং ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুগুলো সমাধানে তিনি কেমন ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে। তিনি এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, এই দুটি বিষয় নিয়ে কাজ করার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
অন্যদিকে, তার রাজনৈতিক সংযোগ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। কোভেন্ট্রি জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া মন্ত্রী এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাওয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জর্জরিত জিম্বাবুয়ে সরকারের সঙ্গে তার সম্পর্ক সমালোচিত হলেও কোভেন্ট্রি মনে করেন, পরিবর্তনের জন্য আলোচনার টেবিলে থাকা জরুরি।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম। অলিম্পিক গেমসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরগুলো সুষ্ঠুভাবে আয়োজন এবং পরিচালনার দায়িত্ব তাদের ওপর ন্যস্ত। বাংলাদেশের ক্রীড়া উন্নয়নেও আইওসির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: The Guardian