এখানে মূল প্রবন্ধটির ভিত্তিতে, ইওন স্কাইয়ের আত্মজীবনী নিয়ে একটি নতুন বাংলা সংবাদ নিবন্ধ তৈরি করা হলো:
**ইওন স্কাইয়ের আত্মজীবনী: হলিউডের ঝলমলে দুনিয়া ও ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক**
হলিউডের পরিচিত মুখ, নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইওন স্কাই। সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর আত্মজীবনী ‘সে এভরিথিং’ (Say Everything)-এ অভিনেত্রী তাঁর জীবনের নানা দিক উন্মোচন করেছেন। হলিউডের আলো ঝলমলে দুনিয়ায় কাটানো তাঁর দিনগুলি, প্রেম, সম্পর্কের জটিলতা, এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা উত্থান-পতন—সব কিছুই অকপটে তুলে ধরেছেন তিনি।
স্কাইয়ের আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে তাঁর বাবার সঙ্গে সম্পর্কের কথা। তাঁর বাবা ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী ডোনোভান। শৈশবে বাবার সান্নিধ্য তেমনভাবে পাননি তিনি। পরবর্তীতে, তাঁদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। বইটিতে নিজের প্রথম জীবনের প্রেম, সম্পর্কে প্রতারণা, এবং অতীতের কিছু ভুলের কথাও উল্লেখ করেছেন স্কাই।
আত্মজীবনীতে ইওন স্কাই তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক, র্যাপার অ্যাডাম হোরোভিটজের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলেছেন। তাঁদের বিবাহিত জীবনে ফাটল ধরেছিল, কারণ স্কাইয়ের একাধিক সম্পর্ক ছিল, যা তিনি গোপন করতেন। এছাড়াও, রেড হট চিলি পেপার্সের বেসিস্ট ফ্লী এবং অভিনেতা অ্যান্থনি কিয়েডিসের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বইটিতে উল্লেখ করেছেন। কিয়েডিসের মাদকাসক্তি নিয়ে উদ্বেগের কথাও তিনি জানিয়েছেন।
স্কাই তাঁর আত্মজীবনীতে তাঁর ‘সেক্স লাইফ’-এর ব্যাপারেও খোলামেলা আলোচনা করেছেন। তাঁর বর্তমান স্বামী, জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বেন লি-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, তাঁদের দাম্পত্য জীবন খুবই সুখের। এই বইয়ে তিনি তাঁর উভকামিতা নিয়ে মুখ খুলেছেন, যা একসময় তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
স্কাইয়ের আত্মজীবনীতে হলিউডের আরও অনেক পরিচিত মুখ, যেমন— ম্যাডোনা, গিনেথ প্যালট্রো, এবং রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের মতো তারকাদের সম্পর্কেও নানা অজানা কথা জানা যায়।
বর্তমানে, ইওন স্কাই তাঁর স্বামী এবং দুই কন্যাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আত্মজীবনী লেখার মূল উদ্দেশ্য ছিল অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং জীবনের নতুন পথে চলা। তিনি চান, তাঁর আত্মজীবনী যেন তাঁর মেয়েদের জন্য একটি সতর্কতামূলক গল্প হয়।
ইওন স্কাইয়ের এই আত্মজীবনী বর্তমানে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পাঠকদের মধ্যে বইটি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে, যেখানে হলিউডের গ্ল্যামার জগৎ এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক উন্মোচিত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান