**যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে একটি ধর্মীয় শিবিরে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ, ৮৮ শিশুকে উদ্ধার**
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যে একটি ধর্মীয় ক্যাম্পে শিশু নির্যাতনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায়, কর্তৃপক্ষ ওই ক্যাম্প থেকে মোট ৮৮ জন শিশুকে উদ্ধার করেছে।
লুইসা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরের জরুরি সাহায্য চেয়ে ফোন করার মাধ্যমে।
ঘটনাটি ঘটেছে ‘শেকিনা গ্লোরি ক্যাম্প অফ দ্য কিংডম মিনিস্ট্রি অফ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’ নামক একটি স্থানে, যা কলম্বাস জংশন শহরে অবস্থিত। ক্যাম্পটি সাধারণত জুন মাসের ৮ তারিখ থেকে ২৯ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
আইওয়া অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য ও মানব পরিষেবা বিভাগ (শিশু সুরক্ষা পরিষেবা), অপরাধ তদন্ত বিভাগ এবং কলম্বাস জংশন পুলিশ বিভাগের সমন্বয়ে গত ১২ ও ১৩ জুন তারিখে অভিযান চালানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশু নির্যাতন ও তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া শিশুদের প্রথমে ওয়াপেলো মেথডিস্ট চার্চে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাদের সঙ্গে চাইল্ড প্রোটেকশন কর্মীরা কথা বলেন।
অনেক শিশুকে তাদের অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবার কয়েকজনকে অস্থায়ীভাবে দেখাশোনার জন্য অন্য কোথাও পাঠানো হয়েছে।
আইওয়া স্টেট হাউসের লুইসা কাউন্টির প্রতিনিধি, টেইলর কলিন্স, সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল শিশুকে ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পের এক কর্মকর্তার ছেলে ভিক্টর বাউই স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে জানান, টেক্সাস থেকে আসা ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্যের জন্য ফোন করেছিল, কারণ সে সেখানে থাকতে চাইছিল না।
বাউই আরও দাবি করেন, ক্যাম্পে থাকা কোনো শিশুর ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। তিনি বলেন, “আমরা কখনোই কোনো শিশুর ক্ষতি করিনি।
আমরা তাকে ভালোবেসেছি। আমরা তাকে প্রায় ৪২ হাজার টাকার (বাংলাদেশি মুদ্রায়) জুতা, কাপড়-চোপড়সহ অন্যান্য জিনিস কিনে দিয়েছি।”
বাউই এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “অবশ্যই আমি হতাশ। আশা করছি, দ্রুতই এর সমাধান হবে।”
তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেও তিনি বা তার বাবা, যিনি ওই ক্যাম্পের একজন যাজক, তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের তদন্ত এখনো চলছে এবং এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তথ্য সূত্র: পিপল