ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার জেরে সেখানে আটকে পড়া নিজ নাগরিকদের নিরাপদে ফেরাতে মরিয়া বিভিন্ন দেশ। মধ্যপ্রাচ্যে আকাশপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু দেশের নাগরিক। এই পরিস্থিতিতে, জরুরি ভিত্তিতে তাদের সরিয়ে নিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর অনুযায়ী, অনেক দেশ স্থলপথ ব্যবহার করে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্ত ব্যবহার করে এই কাজটি করা হচ্ছে।
যেমন, ইতালি তাদের নাগরিকদের আজারবাইজান ও তুরস্কের সীমান্ত দিয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। পোল্যান্ডও তাদের কূটনীতিকদের তেহরান থেকে বাাকুর মাধ্যমে সরিয়ে নিচ্ছে। রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, তারা আজারবাইজানের সীমান্ত দিয়ে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে।
এছাড়াও, পাকিস্তান ইরান থেকে তাদের নাগরিকদের বাসে করে দেশে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে। চীন জানিয়েছে, তারা তাদের নাগরিকদের নিরাপদে ফেরাতে ইরান ও ইসরায়েলে অবস্থিত দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে জরুরি সহায়তা প্রদান করছে।
ভূ-রাজনৈতিক এই অস্থিরতার কারণে সাইপ্রাস, পর্তুগাল ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলোও তাদের নাগরিকদের ফেরাতে অন্যদের সাহায্য চাইছে। সাইপ্রাস সরকার জানিয়েছে, তারা তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকদের সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
অন্যদিকে, তাইওয়ানের সরকার ইসরায়েলে অবস্থান করা তাদের নাগরিকদের জর্ডানে যাওয়ার জন্য একটি বাসের ব্যবস্থা করেছে এবং জর্ডানে অবস্থিত তাইওয়ানের প্রতিনিধি অফিস তাদের দেশে ফিরতে সহায়তা করছে। ফ্রান্স তাদের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং ইসরায়েলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার জন্য সতর্ক করেছে।
থাইল্যান্ড দূতাবাসও তাদের নাগরিকদের দ্রুত তেহরান ত্যাগ করতে বলেছে এবং সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করেছে। যুক্তরাজ্য তাদের দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন অঞ্চলে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। সেখানকার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দেশের এমন তৎপরতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস