আতঙ্ক! নাতান্জে ইসরাইলি হামলায় পরমাণু দূষণের আশঙ্কা!

ইরানের নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রে সম্ভাব্য তেজস্ক্রিয়তা ও রাসায়নিক দূষণের আশঙ্কা, সতর্ক করল জাতিসংঘ।

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রে তেজস্ক্রিয়তা এবং রাসায়নিক দূষণের সৃষ্টি হতে পারে। তবে, কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশের বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।

জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রধান রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি সোমবার জানান, নাতানজ কেন্দ্রের ভেতরে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাসের উপস্থিতির কারণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই গ্যাসটি শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে বা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। উপযুক্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা গেলে এই ঝুঁকি মোকাবেলা করা সম্ভব।

গ্রোসি আরও জানান, নাতানজের বাইরের পরিবেশে বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, যা জনসাধারণের স্বাস্থ্য বা পরিবেশের উপর কোনো তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলেনি। তিনি জানান, জরুরি ভিত্তিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে এবং ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্রই পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গেছে, স্যাটেলাইট চিত্রে নাতানজ পরমাণু কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কিছু কাঠামোও রয়েছে।

এদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের এই হামলাকে নিন্দা জানানো হয়েছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে রাশিয়া, ইরানসহ অনেকে এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, ফোরদো এবং বুশেহরের মতো অন্যান্য পরমাণু কেন্দ্রগুলো হামলার শিকার হয়নি বলে জানা গেছে। ফোরদো কেন্দ্রটি পাহাড়ের নিচে সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

পরমাণু অস্ত্র তৈরি প্রতিরোধে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নাতানজে সম্ভাব্য দূষণের ঘটনা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *