ইরান-ইসরায়েল সংকট: ট্রাম্পের জন্য কঠিন পরিস্থিতি, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যে ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, কিন্তু তাদের প্রত্যাশিত ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য কঠিন এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।
ইসরায়েলের আক্রমণে ইরানের সামরিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। তাদের আঞ্চলিক মিত্ররাও এখন আগের মতো শক্তিশালী অবস্থানে নেই।
সিরিয়া ও লেবাননের পরিস্থিতিও ইরানের জন্য প্রতিকূল। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প যদি সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। সম্প্রতি, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সূত্রগুলোও এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে।
ট্রাম্পের সামনে এখন তিনটি প্রধান পথ খোলা আছে: হয় তিনি সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারেন, অথবা ইসরায়েলকে তাদের মতো করে হামলা চালাতে দিতে পারেন, অথবা কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।
তবে, কোনো পদক্ষেপ না নিলে তাকে দুর্বল হিসেবে দেখা যেতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভবনা এখনো একটি বড় উদ্বেগের কারণ। যদি ইরানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র চলে আসে, তাহলে তা পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।
অতীতে, ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
তবে, সেই পদক্ষেপগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে থামাতে পারেনি।
বর্তমানে, ট্রাম্পের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, ইরানের কাছে এমন একটি উন্নত ও গোপন পারমাণবিক কর্মসূচি থাকতে পারে, যা সহজে ধ্বংস করা সম্ভব নয়।
এই পরিস্থিতিতে, ট্রাম্পের যেকোনো সিদ্ধান্তই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে, যা মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন