জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিংগো ইশিবা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সম্প্রতি একটি টেলিফোন আলাপ হয়েছে। এই আলাপের মূল বিষয় ছিল দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক এবং শুল্কের বিষয়টি।
খবর অনুযায়ী, আসন্ন শুল্ক আলোচনাকে ফলপ্রসূ করার বিষয়ে দুই নেতা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা এই আলোচনার পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে জাপানের পক্ষ থেকে বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান তৈরির প্রস্তাবের কথা পুনর্বার বলেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, শুল্কের পরিবর্তে বিনিয়োগের মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব।
আলোচনার আগে, জাপানের বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান আলোচক রিয়োসেই আকাজাওয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তৃতীয় দফা আলোচনার পূর্বে দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এই ফোনালাপটি হয়।
এর আগে অনুষ্ঠিত হওয়া আলোচনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র জাপানের দাবিগুলো মেনে নেয়নি। বিশেষ করে, জাপানের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক কমানোর যে অনুরোধ ছিল, সে বিষয়ে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে জাপান থেকে আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এই শুল্ক হার জাপানের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ গাড়ি শিল্প তাদের বাণিজ্যের প্রধান স্তম্ভ।
যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক শিথিল করেছেন, তবে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ৪৫ মিনিটের এই ফোনালাপে দুই নেতা নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক সফর নিয়েও আলোচনা করেন। আগামী মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য জি-সেভেন সম্মেলনে তাদের মধ্যে আবার সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে শুল্ক নিয়ে চলমান এই আলোচনা বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য নীতি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এর কিছু প্রভাব থাকতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস