ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর এই বিতর্কিত প্রস্তাবটি শুক্রবার মন্ত্রিসভার সমর্থন লাভ করে।
নিরাপত্তা প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্ত করার কারণ হিসেবে নেতানিয়াহু ‘অবিশ্বাসের’ কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১০ এপ্রিল রোনেন বার-এর মেয়াদ শেষ হবে অথবা তার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি নিয়োগ পাওয়া পর্যন্ত তিনি এই পদে থাকবেন। ২০০১ সাল থেকে বার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি তার পদ নিয়ে কোনো আলোচনায় অংশ নেননি।
বার এক চিঠিতে সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, সরকার ‘অনুচিত বিবেচনা’ এবং ‘ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থের সংঘাতের’ কারণে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
বার আরও অভিযোগ করেন, গত ৭ অক্টোবরের হামাস হামলার কারণ অনুসন্ধানে সত্য প্রকাশে বাধা দিতেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
গত রবিবার নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন, বারকে বরখাস্ত করার জন্য তিনি মন্ত্রিসভায় ভোটাভুটির প্রস্তাব আনবেন। নেতানিয়াহু ও বারের মধ্যে বেশ কয়েক মাস ধরে মতবিরোধ চলছিল।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংশ্লিষ্ট ঘুষ কেলেঙ্কারি এবং ৭ অক্টোবরের হামাস হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থতা নিয়ে তাদের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
এর আগে, এই মাসের শুরুতে শিন বেট (ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তারা হামাসকে প্রতিহত করতে না পারার কথা স্বীকার করে এবং হামলার পরিস্থিতি তৈরিতে নেতানিয়াহুর ভূমিকার সমালোচনা করে।
নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এর পাশাপাশি, তার ডানপন্থী সরকারের নীতির বিরোধিতাকারী ইসরায়েলিদের মধ্যে নতুন করে বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে জলকামান ব্যবহার করা হয় এবং অন্তত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা