গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে আবারও অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে দিয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যে অন্তত ৩৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
খবর অনুযায়ী, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বেড়েছে, যার ফলে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৮ হাজারের বেশি।
সংঘাতের এই পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। হামাস এক বিবৃতিতে বিশ্ববাসীকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।
তারা ইসরায়েলকে এই সংঘাতের জন্য দায়ী করে বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। হামাস আরও জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকার গাজায় নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নতুন করে আগ্রাসন চালাচ্ছে।
হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে গণহত্যার শামিল বলেও উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) জানিয়েছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধবিরতির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে গাজায় আবারও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।
পিআইজে আরও জানায়, নেতানিয়াহু ও তার সরকারের এই আক্রমণের ফলে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কোনো ক্ষতি হবে না।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় তাদের এই অভিযান অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে এবং এটি আরও বাড়তে পারে।
তারা দাবি করেছে, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে হামাসের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো জিম্মিদের উদ্ধার করা।
গাজার মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক এবং মানবিক আইন ও রীতিনীতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ করে জানায়, নিহত ও আহতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি।
গাজার মিডিয়া অফিস আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর এই নৃশংসতা প্রমাণ করে যে তারা কেবল হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ এবং গণহত্যার ভাষাই বোঝে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা