গাজায় অভিযান অব্যাহত: মার্কিন বন্দীর মুক্তির পরও ইসরায়েলের ভয়ংকর পরিকল্পনা!

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান আরও তীব্র করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। মার্কিন বন্দী মুক্তির প্রেক্ষাপটে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি বা হামাসের সঙ্গে বন্দী বিনিময়ের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ইসরায়েল-মার্কিন দ্বৈত নাগরিক ইদান আলেকজান্ডারের মুক্তির জন্য মানবিক করিডোর তৈরি করতে রাজি হয়েছে তারা। তবে এর বাইরে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি বা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে তাদের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।

বরং, গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ‘শুভাকাঙ্ক্ষা’ হিসেবে আলেকজান্ডারকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তারা প্রস্তুত।

এর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজায় টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন অন্যতম।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত রাতে জাবালিয়ার একটি স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। এছাড়া, হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছে।

স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

আলেকজান্ডারের পরিবারের সদস্যরা আশা করছেন, তার মুক্তি অন্যান্য বন্দী মুক্তির পথ সুগম করবে। বর্তমানে গাজায় বন্দী থাকা আরও ৫৯ জনের মধ্যে ২১ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হয়।

বন্দীদের পরিবারের সদস্যরা তাদের মুক্তির জন্য সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করছেন। তবে নেতানিয়াহু তার মন্ত্রিসভার কট্টরপন্থীদের চাপের মুখে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি নন।

গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু গাজা সম্পূর্ণভাবে দখলের পরিকল্পনার কথা জানান। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার পরেই তারা এই অভিযান শুরু করবেন।

বর্তমানেও গাজায় বোমা হামলা অব্যাহত রয়েছে।

তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *