গাজায় ইসরায়েলের বড় এলাকা দখলের পরিকল্পনা: বাড়ছে যুদ্ধের তীব্রতা!

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান আরও জোরদার হচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি জানান, গাজা উপত্যকার ‘বড় এলাকা’ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে অভিযান আরও বাড়ানো হবে।

এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের জঙ্গিদের নির্মূল করা এবং তাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা। সেই সঙ্গে, ভবিষ্যতে ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৌশলগত এলাকাগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ এক লিখিত বিবৃতিতে গাজার বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন হামাসকে বিতাড়িত করে এবং জিম্মিদের মুক্তি দিতে সহায়তা করেন। জানা গেছে, হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন জিম্মি বন্দী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুদ্ধ বন্ধের এটাই একমাত্র উপায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অন্যদিকে, জিম্মিদের পরিবারের একটি ফোরাম, ‘হোস্টেজ ফ্যামিলিস ফোরাম’ এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা জানায়, ইসরায়েল সরকারের উচিত হামাসের বন্দী সকল ৫৯ জন জিম্মিকে মুক্ত করতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া।

তাদের মতে, প্রতিদিন অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিম্মিদের জীবন আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফোরামটি তাদের উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে, জিম্মিদের ওপর চালানো নির্যাতন এবং তাদের জরুরি চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনীয়তার কথা।

তারা মার্কিন প্রশাসনসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি খান ইউনিসে চালানো এক হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে।

স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

যদিও হতাহতের সংখ্যা সম্পর্কে তারা বিস্তারিত জানায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের ফলে এ পর্যন্ত ৫০,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

তথ্য সূত্র:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *