ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। হামাস এবং ইসরায়েল উভয় পক্ষই গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে উভয় পক্ষ বন্দী বিনিময় করতে সম্মত হয়েছে। জানা গেছে, এই শান্তি পরিকল্পনাটির পেছনে সমর্থন জুগিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার এই চুক্তির খবর আসার পর, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় অনেকে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সেখানকার অধিবাসীরা এই চুক্তির মাধ্যমে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের একটি সম্ভাব্য ইতি দেখতে পাচ্ছেন।
অন্যদিকে, তেল আবিবে, জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা এই খবরে আনন্দিত হয়েছেন। তারা তাদের স্বজনদের নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন।
চুক্তি অনুযায়ী, হামাসের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে এবং এর বিনিময়ে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে। এই বিনিময় প্রক্রিয়াটি শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আলোচনা ও সমঝোতার জন্য মিশরকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার আলোচনার মাধ্যমেই এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
গাজার পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সেখানকার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপ দেখা যাচ্ছে, যা যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রকাশ করে। সেখানকার অধিবাসীরা এই চুক্তির ফলে একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে।
যুদ্ধবিরতির খবর পাওয়ার পর, অনেকে টেলিভিশনের সামনে ভিড় করে খবর দেখছিলেন। তাদের চোখেমুখে ছিল উদ্বেগের ছাপ, যা ধীরে ধীরে আশায় পরিণত হচ্ছিল।
এই চুক্তির ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে, এটি কতটুকু স্থায়ী হবে, তা সময়ই বলবে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস