জিম্মিদের ফেরাতে ইসরায়েলে যুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণ: রাস্তায় নামল জনতা!

গাজায় জিম্মিদের মুক্তি চেয়ে ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ, অচলাবস্থা সৃষ্টির হুঁশিয়ারি।

গাজায় এখনো জিম্মি থাকা ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মুক্তির দাবিতে ইসরায়েলে রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর দেশটিতে সংগঠিত হওয়া সবচেয়ে বড় বিক্ষোভগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

বিক্ষোভকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে এবং বিভিন্ন শহরে সমাবেশ করে তাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে অংশ নেয় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা সরকারের কাছে জিম্মিদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে সরকার যেন অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে অনেকে সরকারি মন্ত্রীদের বাড়ির সামনেও অবস্থান নেয়।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, গত প্রায় দুই বছর ধরে চলা এই অস্থিরতা এবং জিম্মি সংকটের দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সরকার জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না।

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করে বলেছেন, যারা হামাসকে পরাজিত না করে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, তারা কেবল হামাসের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করছেন এবং জিম্মিদের মুক্তি বিলম্বিত করছেন।

এমনকি তিনি ৭ই অক্টোবরের ভয়াবহতা আবারও ঘটার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ বলেছেন, “ইসরায়েলের প্রতিটি মানুষ উদ্বিগ্ন এবং জিম্মিদের দ্রুত ঘরে ফিরিয়ে আনতে চায়।” তবে, সরকার পক্ষের অনেকে এই বিক্ষোভকে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।

তারা মনে করছেন, এই ধরনের প্রতিবাদ হামাসের সঙ্গে দর কষাকষিতে ইসরায়েলের অবস্থান দুর্বল করবে।

বিক্ষোভকারীরা সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে ‘ওয়েপয়েন্ট ৫০’ নামে একটি প্রতিবাদ শিবির গাজার সীমান্তে তৈরি করার পরিকল্পনা করছেন।

তাদের দাবি, জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এই বিক্ষোভের কারণে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান আরও তীব্র হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে, যা জিম্মিদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *