ইসরায়েল-হুতি সংঘাত: ইয়েমেনের জন্য কী অপেক্ষা করছে?

ইসরায়েল ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইয়েমেনের উপর এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি, ইসরায়েল ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর এবং হুদাইদার সমুদ্রবন্দরে বোমা হামলা চালিয়েছে।

এর প্রতিক্রিয়ায়, হুতি বিদ্রোহীরা তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এই ঘটনার ফলে ইয়েমেনে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। হুতি বিদ্রোহীরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, ইয়েমেনের উপর সরাসরি প্রভাব পড়ছে, যা দেশটির দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধকে আরও জটিল করে তুলেছে।

ইয়েমেন দীর্ঘদিন ধরে একটি মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির অবকাঠামো দুর্বল এবং খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব রয়েছে।

ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যা মানবিক সহায়তা বিতরণে বাধা সৃষ্টি করছে। একইভাবে, বন্দরগুলোতে হামলার কারণে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ কমে যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়তে পারে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।

হুতি বিদ্রোহীরা শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি অংশ, যারা ইয়েমেনের ক্ষমতা দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে। তাদের সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, যা এই অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে ইয়েমেনে মানবিক সহায়তা সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় এবং সংঘাত বন্ধের জন্য আলোচনা শুরু করা যায়।

একইসঙ্গে, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো জরুরি, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *