ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ার দেরায় নিহত ২, আহত ১৯।
সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দেরার উপকণ্ঠে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২ জন নিহত এবং ১৯ জন আহত হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানার বরাত দিয়ে এই খবর জানা গেছে।
সোমবার রাতের এই হামলার কথা নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা জানিয়েছে, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে, যেখানে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের লক্ষ্য ছিল এমন সামরিক কেন্দ্রগুলো, যা ইসরায়েলের জন্য হুমকি স্বরূপ ছিল।
সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েল রাষ্ট্রকে রক্ষার স্বার্থে আমরা দক্ষিণ সিরিয়ায় সামরিক হুমকিগুলো নির্মূল করতে কাজ করব।” খবরে প্রকাশ, দেরার ওই সামরিক ঘাঁটিটি একসময় বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনীর দ্বারা ব্যবহৃত হতো, তবে বর্তমানে তা সিরিয়ার নতুন সরকারের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ইসরায়েল একাধিকবার দেরার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। জর্ডান সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই প্রদেশটিতে চলতি মাসের শুরুতে বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সে সময় জানিয়েছিল, ওই সামরিক ঘাঁটিগুলোতে রাডার ব্যবস্থা ও সামরিক ঘাঁটি ছিল, যা তাদের জন্য হুমকি তৈরি করছিল।
দামেস্ক থেকে আল-জাজিরার প্রতিবেদক রেসুল সারদার জানিয়েছেন, সোমবার রাতে দেরাতে ইসরায়েলের চারটি বিমান হামলা হয়েছে। তিনি বলেন, “আসলে ইসরায়েলের কৌশল হলো সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা ক্ষমতা হ্রাস করা।
এখন তারা বলছে, সিরিয়ার দক্ষিণে কোনো সামরিক উপস্থিতি তারা চায় না। অবশ্যই দামেস্ক সরকারের জন্য এটি একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, যার অর্থ হলো তারা কার্যত সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে।”
বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সিরিয়ায় কয়েকশবার বিমান হামলা চালিয়েছে। এমনকি গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে থাকা একটি নিরাপত্তা অঞ্চলে সৈন্য মোতায়েন করেছে তারা।
বাশার আল-আসাদের শাসনামলে ইসরায়েল নিয়মিতভাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালাত এবং ইরান ও হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বোমা বর্ষণ করত।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা