গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণে ব্যাপক প্রাণহানির পর কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের অবিলম্বে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার (১১ জুন) ইসরায়েলি বাহিনী এই নির্দেশ দেয়। এতে অন্তত ৩২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজার যে এলাকাগুলোতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে- বাইত হানুন, খিরবেত খুজা, আবাসন আল-কাবিরা এবং আবাসন আল-জাদিদা। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরবি ভাষার মুখপাত্র আবিচায় আদ্রেই এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে জানান, “আইডিএফ (ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স) সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক আক্রমণ শুরু করেছে।
এই চিহ্নিত এলাকাগুলো বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।” আদ্রেই আরও জানান, সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের গাজা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে অথবা খান ইউনিসে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি হামলার পরপরই এই নির্দেশ আসে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাস জানায়, নেতানিয়াহু সরকার দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া দুই মাসের একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে “নস্যাৎ” করতে চাইছে। গত ১৯শে জানুয়ারি এই চুক্তি কার্যকর হয়েছিল।
রমজান মাসে যখন ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তখন তুলনামূলকভাবে শান্তির একটি পরিবেশ ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের এই হামলা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ সেই শান্তিকে ভঙ্গ করেছে।
আল জাজিরার পক্ষ থেকে গাজা সিটি থেকে হানি মাহমুদ জানান, ইসরায়েলের হামলায় আবাসিক ভবন, স্কুল এবং আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত সরকারি স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা কার্যত “মৃত্যু ফাঁদে” পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভুলে যেতে পারি না যে অনেক ফিলিস্তিনি এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে থাকছেন কারণ তাদের বাড়ি হয় ধ্বংস হয়ে গেছে, না হয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দখলে থাকা এলাকায় অবস্থিত।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “ভোর থেকে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলার ঢেউ চলছে… এটা অগ্রহণযোগ্য।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহাল করতে হবে।”
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা