ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত একটি ইহুদি জাদুঘরের বাইরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী। জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন গবেষণা সহকারী এবং অন্যজন দূতাবাসের জনসংযোগ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
ঘটনার সময় হামলাকারী ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’ বলে চিৎকার করে।
নিহতরা শীঘ্রই বাগদান করতে যাচ্ছিলেন।
নিহতদের মধ্যে একজনের নাম ইয়ারন লিশিনস্কি, যিনি ইসরায়েলি দূতাবাসে গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি জার্মানি থেকে ইসরায়েলে এসে বসবাস শুরু করেন এবং জেরুজালেম ও নুরেমবার্গকে নিজের বাসস্থান হিসেবে উল্লেখ করতেন।
লিশিনস্কি আন্তধর্মীয় সংলাপ এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে বোঝাপড়ার ওপর জোর দিতেন। তিনি আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আরব বিশ্বের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক গভীর করার পক্ষে ছিলেন।
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর জিম্মিদের মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তিনি তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে একটি হলুদ ফিতা যুক্ত করেছিলেন।
আরেকজন নিহত সারা মিলগ্রিম, যিনি ইসরায়েলি দূতাবাসের জনসংযোগ বিভাগে কাজ করতেন। তিনি ছিলেন একজন মার্কিন নাগরিক।
সারা মিলগ্রিম শান্তি প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় সম্পর্ক এবং পরিবেশগত বিষয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেন।
ক্যানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ বিজ্ঞান এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন তিনি। তার ইনস্টাগ্রামেও একটি হলুদ ফিতা এবং বাইবেলের একটি অংশ, “তোমরা ন্যায়বিচার করো” হিব্রু ভাষায় লেখা ছিল।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়েচিয়েল লাইটার জানিয়েছেন, লিশিনস্কি জেরুজালেমে সারাহ মিলগ্রিমকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
ঘটনার কয়েক দিন পরেই তাদের বাগদানের পরিকল্পনা ছিল।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে।
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			