আতঙ্কের মাঝে পর্যটন! সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক ট্যুর!

গোলান মালভূমিতে সামরিক তত্ত্বাবধানে পর্যটন, বিতর্কের জন্ম।

মধ্যপ্রাচ্যের বিতর্কিত গোলান মালভূমিতে সম্প্রতি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের আয়োজন করেছে। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের আবহে, এই পদক্ষেপ নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পর্যটকদের জন্য এই ভ্রমণ কার্যক্রমটি মূলত পাসওভারের ছুটির সময়সূচি করে সংগঠিত করা হয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে, বুলেটপ্রুফ বাসে করে ছোট ছোট দল বিতর্কিত এলাকাগুলোতে ভ্রমণ করবে। এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, ভ্রমণের সময়সূচি পরিবর্তন বা বাতিল করারও সম্ভাবনা রয়েছে।

গোলান মালভূমি: একটি সংক্ষিপ্ত পটভূমি।

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। আন্তর্জাতিকভাবে এলাকাটি সিরিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃত, কিন্তু ইসরায়েল এটিকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

ভ্রমণের স্থানসমূহ।

এই ভ্রমণগুলোতে পর্যটকদের জন্য সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা, যেমন হারমোন পর্বত এবং লেবাননের সাথে ইসরায়েলের বিতর্কিত সীমান্ত এলাকা শাবা ফার্মস পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও, রুকাড নদী উপত্যকা এবং পুরনো অটোমান সাম্রাজ্যের হিজাজ রেলওয়ের কিছু অংশও এই ভ্রমণসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সামরিক বাহিনীর বক্তব্য।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য হলো এই অঞ্চলের ঐতিহ্য ও পর্যটন পুনরুদ্ধার করা। পাশাপাশি, যুদ্ধের সময় সংঘটিত বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করা। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করছে যে এই ভ্রমণগুলো ইসরায়েলের অভ্যন্তরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তবে আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকার স্বীকৃতি সিরিয়ার অংশ হিসেবেই রয়েছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং বিতর্ক।

ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীদের নিজস্ব ঝুঁকিতে অংশ নিতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে যেকোনো সময় ভ্রমণ বাতিল হতে পারে। বিতর্কিত এই অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের ভ্রমণের আয়োজন আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের পদক্ষেপ উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা।

পর্যটকদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করে, কর্তৃপক্ষ পাসওভারের ছুটির পর আরও ভ্রমণের আয়োজনের কথা ভাবছে। তবে, এর জন্য এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি অনুকূলে আসা জরুরি।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *