গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুদের মৃত্যু: শোকের ছায়া!

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত অন্তত ১২, উদ্বাস্তু শিবিরে শোকের ছায়া।

গত রাতে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। বুধবার হাসপাতাল সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

আল-আকসা হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে তিনটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নিহতদের মরদেহ। এর মধ্যে দুটি শিশুর শরীর খণ্ড-বিখণ্ড অবস্থায় পাওয়া গেছে।

গত এক মাস ধরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফেলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। মার্চের শুরু থেকে গাজায় খাদ্য ও ঔষধসহ সব ধরনের আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে বাধ্য করতেই এই পদক্ষেপ।

এর আগে, চলতি সপ্তাহের শুরুতে গাজা সিটি ও বেইত লাহিয়ায় হামলায় নিহত হয় আরও দুই ডজনের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৫২ হাজারের বেশি।

অন্যদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত সাংবাদিকের নাম আলি সামৌদি।

তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং আল জাজিরার হয়ে কাজ করেছেন। ২০২২ সালে তিনি নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, যে ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন খ্যাতিমান ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিরিন আবু আকলেহকে ইসরায়েলি স্নাইপাররাই হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, আলি সামৌদি ইসলামিক জিহাদ জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তাদের জন্য অর্থ সরবরাহ করতেন। যদিও তারা এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এ ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই পর্যন্ত ডজন খানেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করেছে ইসরায়েল।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান।

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বুধবার এক মার্কিন সামরিক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন, ইসরায়েলকে লেবাননের এলাকা থেকে সরে যেতে এবং লেবাননের বন্দিদের মুক্তি দিতে চাপ প্রয়োগ করার জন্য।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর জেনারেল জ্যাসপার জেফার্স। তিনি ‘যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া’র কো-চেয়ারম্যান।

প্রেসিডেন্ট আউনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেফার্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন মেজর জেনারেল মাইকেল জে. লিনি। বুধবারের বৈঠকে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।

আউন জানান, লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং সৈন্যদের অস্ত্র ও সশস্ত্র উপস্থিতি বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *