গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত, ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট তীব্র।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় শুক্রবার ভোরে অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। একই সময়ে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হওয়ার পরে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং বেইত লাহিয়া শহরে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকা পড়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনের হামলায় মৃতের সংখ্যা ১৩০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আগেই ঘোষণা করেছিলেন, হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গাজায় সামরিক অভিযান আরও জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় প্রবেশ করতে প্রস্তুত এবং তাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে ধ্বংস করা।
তবে শুক্রবারের হামলা সেই অভিযানের অংশ কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের ইসরায়েলে চালানো হামলার পর থেকেই এই সংঘাত শুরু হয়। হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হয়েছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে, যার ফলস্বরূপ এ পর্যন্ত প্রায় ৫৩,০০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় গত ১৮ মার্চ থেকে প্রায় ৩,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, হামাস এখনও প্রায় ২৫০ জন জিম্মিকে ধরে রেখেছে। তাদের মধ্যে ২৮ জনের বেশি জীবিত আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ তৃতীয় মাসে পড়েছে। এর ফলে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রবেশে চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পরেই তারা অবরোধ শিথিল করবে।
সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন মানবিক সংস্থা ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত এই সংস্থাটি শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে।
তবে জাতিসংঘের (UN) মতে, এই ব্যবস্থা মানবিক নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এটি গাজার ফিলিস্তিনিদের চাহিদা মেটাতে পারবে না।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস