গর্ভবতী ইসরায়েলি নারীর মৃত্যু: হামলাকারীর খোঁজে

পশ্চিম তীরে সন্তান জন্ম দিতে যাওয়ার পথে ইসরায়েলি নারীকে হত্যা, উত্তেজনা

পশ্চিম তীরে এক মর্মান্তিক ঘটনায় এক ইসরায়েলি নারী, যিনি সন্তানসম্ভবা ছিলেন, তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত ওই নারী হাসপাতালে যাচ্ছিলেন সন্তান প্রসবের জন্য।

বুধবার রাতের এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীর সন্তান জন্ম নিয়েছে, তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং হামলাকারীর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।

ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোতে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে সব ধরনের চেষ্টা চালাবে এবং অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

নিহত নারীর নাম তজিলা গেজ, বয়স ৩৭ বছর।

তিনি ব্রুচিন নামক একটি বসতির বাসিন্দা ছিলেন। জানা গেছে, তিনি একজন থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করতেন।

নিহত নারীর স্বামী জানিয়েছেন, তারা দুজনেই তাদের চতুর্থ সন্তানের আগমনের অপেক্ষায় ছিলেন।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলার প্রশংসা করেছে, যদিও তারা সরাসরি এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি।

হামাসের পক্ষ থেকে একে ‘বীরত্বপূর্ণ’ কাজ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর পশ্চিম তীরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

ইসরায়েলের মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এক প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনিদের সন্ত্রাসী আস্তানা গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।

এই ঘটনার জেরে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বসতিগুলোকে অবৈধ বলে মনে করে।

ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য এই অঞ্চলের দখল চায়।

পশ্চিম তীরে সাম্প্রতিক সময়ে সহিংসতা বেড়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল সেখানে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে।

এতে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েল মনে করে, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জঙ্গিবাদকে উস্কে দিচ্ছে ইরান।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *