গাজায় হামাস-এর হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি, উল্লাসে ফেটে পড়ল ইসরায়েল।
সোমবার, ১৩ই অক্টোবর, ২০২৫। অবশেষে অবসান হলো প্রতীক্ষার। গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে বন্দী শেষ জীবিত জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার পর আনন্দে আত্মহারা ইসরায়েলের মানুষ।
এই মুক্তি ছিল ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে হওয়া একটি দুর্বল যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ।
পুরো ইসরায়েল জুড়ে আনন্দের ঢেউ লাগে। মুক্তির খবর আসার সঙ্গে সঙ্গেই রাস্তায় নেমে আসে মানুষ।
তেল আবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ার’-এ (বন্দী চত্বর) জড়ো হয়ে চলে উদযাপন। অনেকে সরাসরি সম্প্রচার দেখছিলেন, আবার অনেকে মুক্তির আনন্দে মেতে ওঠেন।
হোলন শহরে, যেখানে বার কুপারস্টেইন নামের এক জিম্মির পরিবার অপেক্ষা করছিল, সেখানেও ছিল উৎসবের আমেজ। প্রিয়জনদের ফিরে আসার অপেক্ষায় সকলে আনন্দ প্রকাশ করেন।
পেতাহ টিকভার বেইলিনসন হাসপাতালের বাইরেও অনেকে পতাকা হাতে ভিড় করেন, কারণ মুক্তি পাওয়া কিছু জিম্মিকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এই মুক্তি প্রক্রিয়া শুধু আনন্দ নয়, বরং গভীর তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর এটি ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এর মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের একটি প্রক্রিয়াও শুরু হয়। একই সময়ে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল সেখানকার মানুষ।
যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ততক্ষণে মধ্যপ্রাচ্যে এসে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা। গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোরও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাম্প।
মুক্তির এই দিনটিতে, একদিকে যেমন স্বজনদের ফিরে পাওয়ার আনন্দ, তেমনই ছিল ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা।
তবে, আপাতত যুদ্ধবিরতির এই সময়ে, মানুষ তাদের প্রিয়জনদের আগমনের অপেক্ষায় উৎসবে মেতে উঠেছিল।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস