**ইস্তাম্বুলের গ্যালাতা ব্রিজে ভালোবাসার ছবি: বিয়ের মরসুমে এক ভিন্ন চিত্র**
তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে, গ্যালাতা ব্রিজের কাছে সোনার হরিনের তীরে এখন বিয়ের মরসুমের এক আকর্ষণীয় দৃশ্য চোখে পড়ে। গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়, সূর্য যখন দিগন্তে অস্ত যায়, তখন নবদম্পতিরা ভিড় করেন এখানে, তাদের বিয়ের স্মৃতিকে ক্যামেরাবন্দী করতে।
এই স্থানটি এখন ভালোবাসার ছবি তোলার এক আদর্শ মঞ্চ হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দিনের আলোয় জায়গাটি হয়তো সাধারণ, কিন্তু গোধূলির আলোয় এর রূপ বদলে যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত, এখানে ছবি তোলার জন্য আসেন হবু বর-কনে এবং নববিবাহিত দম্পতিরা।
তারা সবাই তাদের বিয়ের পোশাক পরে আসেন, যা সূর্যাস্তের আলোয় ঝলমলে হয়ে ওঠে। গ্যালাতা টাওয়ার এবং সুলেইমানিয়ে মসজিদের মতো ঐতিহাসিক স্থাপত্যের পটভূমিতে ছবিগুলো যেন এক ভিন্ন মাত্রা পায়।
এই সময়টাকে আলোকচিত্রীরা ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলে থাকেন, যা ছবি তোলার জন্য খুবই উপযুক্ত।
এখানে ছবি তোলার জন্য এতো বেশি মানুষের আনাগোনা হয় যে, অনেক সময় ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এই স্থানটি শুধু ছবি তোলার জায়গা নয়, বরং ভালোবাসার উদযাপন।
যুগলরা মনে করেন, এই ছবিগুলো তাদের ভালোবাসার এক অমূল্য স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থাকবে, যা তারা তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবেন।
ইস্তাম্বুলে আসা এক দম্পতি, সেমিহ আইদিন বলছিলেন, “আমি লন্ডন, বার্সেলোনা গিয়েছি, কিন্তু ইস্তাম্বুলের মতো সুন্দর জায়গা আর দেখিনি। আমরা চেয়েছিলাম এমন কিছু ছবি তুলতে যা দেখে আমাদের সন্তানেরা ভবিষ্যতে গর্বিত হবে।”
বিশ্বজুড়ে গন্তব্য-বিবাহ (destination wedding) এবং ছবি তোলার প্রবণতা বাড়ছে। গ্যালাতা ব্রিজের এই দৃশ্য তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।
ভালোবাসার উদযাপন আর সুন্দর স্মৃতি তৈরির এমন ছবি তোলার সংস্কৃতি সম্ভবত আমাদের দেশের সংস্কৃতিতেও ভিন্ন রূপে দেখা যায়।
তথ্য সূত্র: