ইতালির একটি সমুদ্র তীরবর্তী শহর, যা পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিত, সেখানকার বাসিন্দারা এখন এক ভয়াবহ সমস্যার সম্মুখীন। টাস্কানির অরবেতেলো শহরে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোট মাছির উপদ্রব দেখা দিয়েছে, যার ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণার আবেদন জানানো হয়েছে।
অরবেতেলো, যা টাইরেনিয়ান সমুদ্র এবং মন্ট আর্জেন্টিনার মাঝে অবস্থিত একটি উপদ্বীপ, সেখানকার বাসিন্দারা এই মাছির আক্রমণে অতিষ্ঠ।
এই tiny fly-গুলো এতটাই বেড়েছে যে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না এবং পর্যটন নির্ভর ব্যবসাগুলোও হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ আগে এই ঝাঁক শুরু হয়েছে। তাদের মতে, এর প্রধান কারণ হলো ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাছের পোনার ব্যাপক মৃত্যু।
মাছের পোনারা মশা জাতীয় এই পোকাদের লার্ভা খেয়ে জীবন ধারণ করে। মৎস্যজীবীরা আরও জানান, অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে এবং এর কারণ হলো এখানকার লেগুন এলাকার অক্সিজেনের অভাব।
এই সংকট মোকাবিলায় অরবেতেলো সিটি হল ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ ইউরো (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা) বরাদ্দ করেছে এবং জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মেয়র আন্দ্রেয়া কাসামেন্তি বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দা ও অর্থনীতির সুরক্ষার চেষ্টা করা হবে।
তবে, বিস্তারিত কোনো পদক্ষেপ এখনো জানানো হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরো কিছু পদক্ষেপ চান। তারা টাস্কান অঞ্চলকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার জন্য অনুরোধ করছেন, যাতে আরও বেশি তহবিল সংগ্রহ করা যায়।
“সেভ দ্য অরবেতেলো লেগুন” নামে একটি পিটিশনে ১৯,০০০ এর বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে। পিটিশনে বলা হয়েছে, “আমরা বাইরে হাঁটতে পারছি না, জানালা খুলতে পারছি না।
কোভিড-১৯ মহামারীর শুরুর দিকের মতো আমরা গৃহবন্দী হয়ে গেছি।” লেগুনের অব্যবস্থাপনাকে তারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন।
অরবেতেলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি পিয়ের লুইজি পিরো জানান, লেগুন এলাকার খালগুলো পরিষ্কার করতে এবং লেগুন ও টাইরেনিয়ান সাগরের মধ্যে জল বিনিময় বাড়াতে জরুরি অবকাঠামো তৈরি করা দরকার।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, মেয়রের কার্যালয় এবং বাণিজ্য সংগঠনগুলো দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ পর্যটন মৌসুম, অন্যথায় অনেক ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন
