ইতালীয় জীববিজ্ঞানী অ্যালেসান্দ্রো কোয়াত্তির (Alessandro Coatti) কলম্বিয়ায় রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেশটির সান্তা মার্তা শহরে তাঁর দেহের খন্ডিত অংশ উদ্ধারের পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার উপকূলীয় শহরটিতে একটি পথ থেকে মানবদেহের কিছু অংশ পাওয়া যায়। তদন্তে জানা গেছে, নিহত কোয়াত্তির একটি হাতের ব্রেসলেট পাওয়া গেছে, যা দেখে তাঁকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
কোয়াত্তি সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকা ভ্রমণে এসেছিলেন। এরপর শহরের আরও দুটি স্থানে তাঁর দেহের অন্যান্য অংশ খুঁজে পাওয়া যায়।
কলম্বিয়া পুলিশের ধারণা, কোয়াত্তি ৫ এপ্রিল সান্তা মার্তার একটি আবাসিক এলাকায় ছিলেন। এরপর তিনি তাইরোনা অঞ্চলের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিলেন।
ঠিক কী ঘটেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ঘটনার তদন্ত চলছে।
কলম্বিয়ার সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, “ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। বর্তমানে তদন্ত চলছে।”
সান্তা মার্তার মেয়র কার্লোস পিনেদো কুয়েলো এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে কোয়াত্তির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং তথ্য সরবরাহকারীর জন্য প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি টাকা (১১,৩০০ মার্কিন ডলার) পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোয়াত্তির পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ইতালীয় পুলিশ কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। ইতালির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম, ‘রাই’-এর খবর অনুযায়ী, কলম্বিয়ায় আসার আগে কোয়াত্তি পেরু, বলিভিয়া এবং ইকুয়েডর ভ্রমণ করেছিলেন।
কোয়াত্তি যুক্তরাজ্যের রয়েল সোসাইটি অব বায়োলজিতে (Royal Society of Biology – RSB) আট বছর কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আলে ছিলেন হাসিখুশি, উষ্ণ হৃদয়ের মানুষ।
তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমান এবং তাঁর সহকর্মীদের কাছে প্রিয় ছিলেন। আমরা তাঁকে গভীরভাবে মিস করব।” প্রতিষ্ঠানটি তাঁকে ‘প্রাণোচ্ছল ও নিবেদিতপ্রাণ’ বিজ্ঞানী হিসেবে বর্ণনা করেছে, যিনি প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন