কোটিভোঁয়ার (Ivory Coast) বিরোধী দলের প্রধানের পদত্যাগ, তবে লড়াই চলবে বিজয়ের লক্ষ্যে।
আফ্রিকার দেশ কোটিভোঁয়ায় বিরোধী দলের প্রধান হিসেবে পদত্যাগ করেছেন তিডিয়ান থিয়াম। তবে, তিনি ঘোষণা করেছেন যে আগামী ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের জয়ের জন্য তিনি নেতৃত্ব দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
সোমবার প্রকাশিত এক ভাষণে থিয়াম বলেন, “দলের স্বার্থে আমি দলের সভাপতির পদ আপনাদের, অর্থাৎ দলের কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, এই সিদ্ধান্ত আমার ডিসেম্বর ২০২৩-এ নেওয়া সেই অঙ্গীকারের কোনো পরিবর্তন করবে না, যেখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে দলের নেতৃত্ব দিয়ে ২০২৫ সালের অক্টোবরে বিজয় নিশ্চিত করব।
জানা গেছে থিয়ামকে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, তিনি একসময় ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা চলবে না।
থিয়াম যদিও ২০১৯ সালে ফরাসি পাসপোর্ট ত্যাগ করেছিলেন, কিন্তু আদালত তাকে নির্বাচন তালিকা থেকে বাদ দেয়। আদালতের মতে, ১৯৬২ বছর বয়সী থিয়াম ১৯৮৭ সালে ফরাসি নাগরিকত্ব গ্রহণ করার মাধ্যমে আইভোরীয় নাগরিকত্ব হারিয়েছেন।
অন্যদিকে, দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ৮৩ বছর বয়সী আলাসানে ওয়াতারা এখনো জানাননি যে তিনি পুনরায় নির্বাচনে লড়বেন কিনা। তবে তিনি বলেছেন, তিনি “দেশকে সেবা করে যেতে আগ্রহী”।
শুধু তাই নয়, থিয়ামের দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে তার জয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দলের এক সদস্য তার নাগরিকত্ব নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। দলটির উপ-সভাপতি আর্নেস্ট এন’কোউমো মোবিয়ো থিয়ামের পদত্যাগের পর দলের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
তিনি দলের সদস্যদের “ঐক্য, শান্তি ও শৃঙ্খলা” বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোমবার দলের একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
এছাড়াও, আরও তিনজন বিরোধী নেতাকে আসন্ন নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লরেন্ট বাগবো, যিনি আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
সোমবার থিয়াম নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “আমরা যখন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছিলাম, তখন এটা স্পষ্ট যে প্রধান বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে যেন একটি সাজানো নির্বাচন করে নিশ্চিত বিজয় হাসিল করা যায়।”
তবে, দেশটির কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এ ধরনের সিদ্ধান্তগুলো একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ নিয়ে থাকে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা