সৈকতে ভ্যাপিং বন্ধ: পর্যটকদের জন্য কঠোর সিদ্ধান্ত!

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসনভিলে সমুদ্র সৈকতে ধূমপান ও ই-সিগারেট ব্যবহারের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। স্থানীয় সিটি কাউন্সিল সম্প্রতি এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এখন থেকে সৈকতে কোনো ধরণের ধূমপান করলে কমপক্ষে ৫০ ডলার জরিমানা করা হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫,৮০০ টাকার সমান।

জ্যাকসনভিলে বিচ একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ হলো ধূমপানের কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব এবং সমুদ্র সৈকতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

নতুন এই বিধিনিষেধের আওতায় সিগারেট, সিগার, পাইপ, ইলেকট্রনিক সিগারেট বা ই-সিগারেট এবং অন্য যেকোনো ধরনের তামাক বা ভ্যাপিং পণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে ই-সিগারেট এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল, তবে নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এখন সব ধরনের ধূমপানের ওপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

কাউন্সিলম্যান গ্রেগ সাটন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে বলেন, “আমি মনে করি, এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।” একইসাথে, কাউন্সিলার স্যান্ডি গোল্ডিং শহরের অন্যান্য পাবলিক প্লেসেও এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারির পক্ষে মত দেন।

তিনি জানান, পাবলিক প্লেসে তামাকজাত পণ্যের বর্জ্য বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

ফ্লোরিডার অন্যান্য শহর, যেমন ট্রেজার আইল্যান্ড, ড্যানিয়া বিচ, এবং ফোর্ট লডারডেল-এর মতো জায়গাগুলোতেও সমুদ্র সৈকতে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু ফ্লোরিডাই নয়, নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মতো রাজ্যগুলোতেও একই ধরনের বিধি-নিষেধ রয়েছে।

নিউ ইয়র্কে ২০১৯ সাল থেকে পাবলিক পার্ক ও সৈকতে ধূমপান করলে ৫০ ডলার জরিমানা করার নিয়ম চালু আছে। ক্যালিফোর্নিয়াতেও একই ধরনের বিধি রয়েছে এবং সেখানেও জরিমানা ২৫ ডলার।

এই ধরনের পদক্ষেপ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে, এ ধরনের পদক্ষেপ বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *