দুই ঘণ্টার নিচে দৌড়! কিপলিমোর স্বপ্ন সত্যি হবে?

**জ্যাকব কিপলিমা: লন্ডনে নতুন দিগন্তের খোঁজে, বিশ্ব রেকর্ডের স্বপ্নে বিভোর**

ক্রীড়া প্রেমীদের আগ্রহ এখন একটাই দিকে—কে গড়বে নতুন ইতিহাস? কেনিয়ার কেলভিন কিপতমের গড়া ম্যারাথন বিশ্বরেকর্ড ভাঙতে পারেন কি উগান্ডার তরুণ দৌড়বিদ জ্যাকব কিপলিমা? আসন্ন লন্ডন ম্যারাথনে তার দিকেই তাকিয়ে বিশ্ব।

মাত্র কয়েক মাস আগেই বার্সেলোনার রাস্তায় এক অভাবনীয় কীর্তি গড়েছেন কিপলিমা। ২১.১ কিলোমিটারের হাফ ম্যারাথন দৌড় তিনি শেষ করেছেন ৫৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে, যা ইতিহাসের দ্রুততম সময়ের চেয়েও প্রায় এক মিনিট কম। এরপর থেকেই তার উপর যেন সবার চোখ পড়েছে।

লন্ডন ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার আগে তিনি বলেছেন, “আমি প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত।

কিপলিমার জন্ম আফ্রিকার কুইন প্রদেশের একটি গ্রামে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। তার বাবার ছিল তিনটি স্ত্রী, এবং ছিল অনেক বড় ভাই। তাদের দৌড় প্রশিক্ষণ দেখতে দেখতেই তারও দৌড়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। মাত্র ১০-১১ বছর বয়সেই তিনি দৌড়বিদ হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন।

২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকে ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম সবার নজরে আসেন। এরপর ইতালিতে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। তার কোচ জিউসেপ গিয়ামব্রোনে তাকে বলেছিলেন, “তুমি হবে বিশ্বের সেরা দৌড়বিদদের একজন।

যদিও ২০১৬ সালের অলিম্পিকে তিনি সেমিফাইনালে বাদ পড়েছিলেন, তবে এই অভিজ্ঞতা তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।

কিপলিমার সাফল্যের পেছনে অন্যতম কারণ হলো তার কঠোর পরিশ্রম। ট্র্যাক ইভেন্টে অংশগ্রহণের সময় তিনি সপ্তাহে প্রায় ৭৫ থেকে ৯০ মাইল দৌড়াতেন। আর ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি এই পরিমাণ বাড়িয়ে করেছেন ১২৫ থেকে ১৩৫ মাইল।

কিপলিমার প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহজ হবে না। কারণ এই ম্যারাথনে অংশ নিচ্ছেন এলিয়ud কিপচোগের মতো কিংবদন্তি দৌড়বিদ। এছাড়াও আছেন ট্যামিরাত তোলা, যিনি অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন এবং গতবারের লন্ডন ম্যারাথনের বিজয়ী আলেকজান্ডার মুটিসো।

তবে কিপলিমা কি পারবেন? ম্যারাথন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুরুতে ভালো গতি ধরে রাখতে পারলে তিনি কিপতমের রেকর্ড ভাঙতে পারেন। এমনকি কেউ কেউ মনে করছেন, তিনিই প্রথম দৌড়বিদ হতে পারেন যিনি ২ ঘণ্টার কম সময়ে ম্যারাথন শেষ করবেন।

কিপলিমার এজেন্ট রোসা অ্যান্ড এসোসিয়েটির বিরুদ্ধে অতীতে ডোপিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল। তবে কিপলিমা নিজে সবসময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজের প্রশিক্ষণের উপর আস্থা রেখেছেন।

তিনি বলেন, “আমি ডোপিংয়ের বিষয়ে কিছু বলতে পারি না, তবে আমি আমার প্রশিক্ষণে বিশ্বাস করি।

এই ম্যারাথনে কিপলিমা কেমন করেন, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *